ডেস্ক রির্পোট
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে বাতিল করা হবে বাসের রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) ও রুট পারমিট। স্বাস্থ্যবিধি না নামলে গণপরিবহনের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নিতে হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) এ নির্দেশ দিয়েছে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ইউছুব আলী মোল্লা মন্ত্রণালয়ের এ চিঠি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে গত ১ জুন থেকেই অতিরিক্ত ভাড়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভাড়া নিয়ন্ত্রণ ও গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ভাড়া নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় অভিযান আরো জোরদার করা হবে বলে তিনি জানান।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ২৫ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় গণপরিবহন। ৬৭ দিন বন্ধ থাকার পর অর্ধেক সিট খালি রাখাসহ ১১ শর্তে ১ জুন থেকে গণপরিবহন চালু হয়। স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্ত থাকলেও অনেক বাস জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে না, স্যানিটাইজার রাখা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। অর্ধেক সিট খালি রাখার লোকসান পোষাতে বাসে ৬০ ভাগ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তবে অনেক বাস আরো বেশি ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যাত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা মাস্ক ব্যবহার করছেন না।
মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাড়তি ভাড়া আদায়কারীরা গণদুশমন। এর পরপরই বাড়তি ভাড়া বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে লিখিত নির্দেশ দেন বিআরটিএকে।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কিছু বাস অপারেটর যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানছে না বলে পত্রিকায় প্রতিবেদন আসছে। তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী নিবন্ধন ও রুট বাতিলের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সুত্র : সমকাল
জোনাকি টেলিভিশন/এসএইচআর/০৯-০৬-২০ইং
Leave a Reply