নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বরে শুরু হতে যাওয়া স্থানীয় সরকারের অধীনে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন পদের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ করবে বিএনপি। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় ও বিএনপির জেলা কার্যালয় থেকে মনোনয়নের আবেদন ফরম সংগ্রহ করা যাবে। আজ সোমবার বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তারের বরাত দিয়ে বিএনপির গণমাধ্যম শাখার সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
শায়রুল কবির বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নির্দিষ্ট জেলার তফসিল ঘোষণা অনুযায়ীকাল মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার তিন দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গুলশান চেয়ারপারসনের কার্যালয় ও জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা যাবে।
শায়রুল কবির বলেন, বগুড়া জেলার শেরপুর, নওগাঁর রানীনগর, পাবনার ঈশ্বরদী, বেড়া, সাতক্ষীরার দেবহাটা, যশোরের বাঘারপাড়া ও সদর, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হবে।
এ ছাড়া পৌরসভার মধ্যে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, মাদারীপুরের রাজৈর, ফরিদপুরের সদর, মধুখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর।
ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙা, বন্দবেড়, চর শৌলমারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার দলদলী, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উত্তর উলানিয়া, দক্ষিণ উলানিয়া, নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ডিএমখালি, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর, হবিগঞ্জের সদর উপজেলার রাজিউড়া, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচালম, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর, রাঙামাটি সদর উপজেলার মগবান ও বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নের নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হবে।
গত ২ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে যেসব পৌরসভার মেয়াদ শেষ হবে, সেখানে আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পৌরসভার নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে।
ওই দিন সভা শেষে সিইসি বলেন, ‘আজ আমরা লম্বা মিটিং করেছি। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন যেগুলো ডিউ হয়েছে, সেগুলো পরিচালনা করা, শিডিউল তৈরি এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ থেকে শুরু করে করণীয়গুলো ঠিক করেছি। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে যেসব নির্বাচন ডিউ হবে, সেগুলো হয়তো আমরা করে ফেলব, হয়তো ডিসেম্বরের শেষ দিকে। সে রকম প্রস্তুতি আমাদের আছে।’
সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘আমরা আশা করি, পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা যাবে। এগুলো ধাপে ধাপে করা হবে। আমাদের অনুমান, পাঁচটি ধাপে নির্বাচন শেষ করতে পারব। এখনো আমরা ঠিক করিনি কয় ধাপে নির্বাচন করা হবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘পৌরসভার নির্বাচন ইভিএমে হবে। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচন বা সাধারণ নির্বাচন সব ইভিএমে করা যাবে না। হয়তো কিছুসংখ্যক করা যেতে পারে, এনআইডির ডিজি পৌরসভার নির্বাচনগুলো ঠিক করার পর যদি মনে করেন, তাঁর ক্যাপাসিটি আছে; তবে হয়তো কিছু নির্বাচন ইভিএমে করবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পৌরসভা, জেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের যেসব নির্বাচন ডিউ হবে, সেগুলো করা হবে। এ সময়ের পৌরসভা খালি হবে ২০টির বেশি। এ ছাড়া অনেক উপনির্বাচন হবে।
Leave a Reply