জুবায়ের খন্দকার, জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহঃ- আজ ঐতিহাসিক ১০ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদারমুক্ত হয় ময়মনসিংহ। মুক্তিবাহিনী এবং মিত্রবাহিনী ভারত স্বাধীন ভূ-খন্ডের মানচিত্রে ময়মনসিংহের নাম লিখিয়ে বিজয়ীর বেশে প্রবেশ করে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়িয়ে জানান দেয় স্বাধীন বাংলার একাংশ ময়মনসিংহকে।
ইতিহাসের পাতা ঘাটলে জানা যায় যে, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ ঢাকা থেকে গণহত্যা শুরুর অব্যবহিত পরে ময়মনসিংহের সংগ্রামী জনতা শহরের খাগডহর তৎকালীন ইপিআর ক্যাম্প ঘেরাও করে এবং বাঙ্গালী ইপিআর সদস্যদের সহায়তায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করার পর সেখান থেকে বিপুল পরিমানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। সে সময় ইপিআর সদস্য দেলোয়ার হোসেন এবং তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের ড্রাইভার পুত্র আবু তাহের মুকুল সেখানে শাহাদাৎ বরন করেন। আর এই যুদ্ধের পর পরই ময়মনসিংহের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত সীমান্ত ফাঁড়িগুলি বাঙ্গালী ইপিআরদের নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। তখন ময়মনসিংহবাসী পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর লাশ নিয়ে বিজয় মিছিল করতে থাকে। সাথে জীবিত পাকসেনাদের ধৃত করে যথাযথ কতৃপক্ষের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলখানায় প্রেরণ করে।
যুদ্ধকালীন সময়ে এক সকালে পুরাতন ইপিআর ভবনের ৩য় তলার শীর্ষে হাজার হাজার লোকের সমাগমেজয় বাংলা ধ্বনীর মধ্যদিয়ে স্বাধীন বাংলার নকশা খচিত পতাকা উত্তোলন করেন সাবেক কমান্ডার জেলা মক্তিযোদ্ধা সংসদ মোঃ সেলিম সাজ্জাদ।
এযুদ্ধে সড়াসড়ি অংশগ্রহন করেন- সাব সেক্টর কমান্ডার ও টাইগার তারা কোম্পানির প্রধান এসএম নাজমুল হক তারা, আবুল হাসেম, বর্তমান জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, নাজিম ম হামিদ,তৎকালীন ন্যাপ নেতা এড. আব্দুল লতিফ তালুকদারসহ তৎকালীন আওয়ামীলিগ, ছাত্রলীগ নেত্রীবৃন্দ, পুলিশ, বিডিআর এবং সেনাবাহীনির সদস্যসহ হাজর হাজার সাধারন মুক্তিকামী মানুষ।
Leave a Reply