ডেস্ক রির্পোট
সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবে দেশের বিভিন্ন খাতে ১১শ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাসমূহ হচ্ছে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, ও বরগুনা । বৃহস্পতিবার বিকালে সচিবালয় থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, পানিসম্পদ, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব দিয়েছে। প্রায় ১১শ কোটি টাকা ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব আমরা পেয়েছি। অন্য যেসব মন্ত্রণালয় আছে, তারাও রিপোর্ট দিয়েছেন, তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তারা দেয়নি। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে উপকূলীয়সহ ২৬ জেলায় ক্ষতি হয়েছে। তবে, সারাদেশে মোট ক্ষতির তথ্য জানতে অন্তত সাত দিন সময় লাগবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব জেলায় ঘরবাড়ি প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি ও নষ্ট হয়েছে। এসব ঘরবাড়ি সংস্কার ও নির্মাণে প্রতি জেলায় ৫শ বান্ডিল টিন এবং ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে , এছাড়াও ত্রাণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও পটুয়াখালীতে পাট, আম, লিচু ও মুগ ডালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি, তবে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার আমের ক্ষতি হয়েছে। ২শ টি ব্রিজ ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার বেশির ভাগ বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলায় অবস্থিত। প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৮৪টি জায়গায় বাঁধের ফাটল ধরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব ফাটল ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে শুক্রবার থেকে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করবে বলে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অনেক জায়গায় ডাক বিভাগের টেলিফোন লাইনসমূহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে যা শীঘ্রই মেরামত করা হবে।
ঝড়ে সারাদেশে ১০ জন নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। যদিও স্থানীয় সূত্রগুলো থেকে পাওয়া তথ্যে এই সংখ্যাটি আরও বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসিন উপস্থিত ছিলেন।
জোনাকি টেলিভিশন/এসএইচআর/২১-০৫-২৯ইং
Leave a Reply