নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ১১ এপ্রিল দেশের ১৯ জেলার ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতেিএর আগে এলাকার চিহ্নিত মাস্তান, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরি করে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত সোমবার সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।
নির্দশনায় বলা হয়েছে, সামগ্রিক নিরাপত্তা বিধানে সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়োগে দায়িত্বে থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। তবে নির্বাচনি এলাকায় মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োগে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার, জেলা নির্বাচন অফিসার এবং প্রয়োজনে রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। পুলিশ সুপাররা নির্বাচনের চার দিন আগে কর্মপরিকল্পনার একটি কপি নির্বাচন কমিশনে ফ্যাক্স/ ই-মেইল/ ইন্টারনেট বা বিশেষ দূত মারফত পাঠাতে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ সব বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার পরিচালনা জোরদার করতে হবে। একই সঙ্গে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা প্রণয়ন পূর্বক চাঁদাবাজ, মাস্তান ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এছাড়াও নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন, উস্কানিমূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধ, অর্থ, পেশীশক্তি ব্যবহার রোধের প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে একই নির্দেশনায় ডিসি-এসপিদের পাশপাশি সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা সমুজ্জল ও সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো রকম পক্ষপাতিত্ব, পছন্দ, অপছন্দকে সম্পূর্ণভাবে পরিহার করতে হবে। কথায়, কাজে, আচরণে দৃশ্যমান স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা প্রদর্শন করতে হবে। সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
Leave a Reply