বিশ্বের সবচাইতে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়া। সম্প্রতি সেখানে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে ৩১ মে পর্যন্ত। দেশটির স্থানীয় প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে এই লকডাউনে দেশের এক শহর থেকে অন্য শহরে মোটর সাইকেল বা ব্যক্তিগত বাহন নিয়েও যাওয়া যাবে না।
সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক অবস্থায় এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া তাদের আক্রান্তর সংখ্যা গোপন করে। পরবর্তীতে এই সংখ্যা বাড়লে মার্চে দেশটি করোনায় আক্রান্ত রোগী থাকার বিষয়টি স্বীকার করে নেয়। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় সবচাইতে বেশি পরিমাণে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
বিশ্বের সবচাইতে বড় মুসলিম জনসংখ্যার দেশটিতে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে মূল শহরগুলো থেকে সকলে গ্রামে এবং প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে চলে যায় ছুটি কাটাতে। আর এভাবে ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে দেশটি এই লকডাউন ঘোষণা করে। আর এই লকডাউন কার্যকর করতে দেশ জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে ২০ হাজারের বেশি সৈন্যকে।
দেশটির মূল শহরগুলো থেকে অন্য শহরে যাতায়াত একেবারেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিশেষত ইন্দোনেশিয়ার বৃহত্তম শহর জাকার্তা থেকে সকলের অন্য শহরে যাওয়া নিষেধ। এই শহরটি বর্তমানে দেশটির অভ্যন্তরে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যায় সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে।
এর আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট ৩১ মার্চ জাতীয় স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেও কোন লকডাউনের ঘোষণা দেয়নি। আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া নতুন করে এই ঘোষণা প্রদান করা হলো। অবশ্য আসন্ন রমজানকে ঘিরে দেশটিতে এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে মসজিদে নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়নি। কিন্তু দেশটির আলেম সমাজ সকলকে মসজিদে আসার বদলে সামাজিক দূরত্ব মেনে সালাত আদায়ের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৮ হাজার ৬০৭ জন। মোট মৃত্যু ৭২০ জন। সিঙ্গাপুরের পর পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় পেনডেমিক সেন্টার বলা হচ্ছে দেশটিকে। সূত্র: ইত্তেফাক
Leave a Reply