জোনাকী ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কক্সবাজারকে উন্নত পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে । আর এ লক্ষে সরকার কাজ করে যাচ্ছেন ।
বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ৬০০ জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে ফ্লাট হস্তান্তরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ফ্ল্যাট হস্তান্তর কাজের উদ্বোধন শেষে উপকারভোগীদের কাছে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের বৃহত্তর সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য যাতে পর্যটকরা উপভোগ করতে পরে সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে চার হাজার জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার ফ্ল্যাট পাবে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ছয়শ’টি পরিবারকে আজ ফ্ল্যাট দেয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে উপকূলবাসীকে বেশি করে গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হতে পারে, এজন্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে।
এ সময় প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা মোকাবেলায় দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান সরকার প্রধান।
খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে’র আওতায় ৪৪৪৮টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার পুনর্বাসন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে প্রাথমিকভাবে ৬০০ পরিবারের কাছে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেন। জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার পুনর্বাসন বিশ্বে এটিই প্রথম।
খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫৩.৫৯ একর জমিতে ১৮০০.৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫তলা বিশিষ্ট ১৩৯টি ভবন নির্মাণ করার মাধ্যমে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনে বিশ্বে এক অনন্য নজির স্থাপন করলেন।
কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ অগ্রাধিকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্প। এ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১৯টি পাঁচতলা ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়। সেখানে বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জলবায়ু উদ্বাস্তু ৬০০ পরিবারকে দেয়া হলো নতুন ফ্ল্যাট। প্রতিটি ভবনে ৩২টি করে পরিবার থাকবে।
জোনাকী টেলিভিশন/এসএইচআর/২৩জুলাই ২০২০ইং
Leave a Reply