জোনাকী আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের মতো এবার সীমিত আকারে হবে হজ্ব। ফলে সৌদি আরবের বাইরে থেকে গিয়ে এবার হজ্ব করার সুযোগ নেই। সৌদিতে থাকা ১৫০টি দেশের নাগরিকসহ এবারের হজ্বে অংশ নিচ্ছেন ৬০ হাজার মানুষ।
হজ্ব সম্পাদনে এবার মুসল্লিদের ব্যবহার করতে হবে স্মার্ট কার্ড। সৌদির স্থানীয় সময় শনিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে মক্কায় পৌঁছাবেন এবারের হজ্বের অনুমতি প্রাপ্ত হজ্বযাত্রীরা।
মক্কা, আরাফা, মিনা ও মুজদালিফায় চলাচলে হাজিদের জন্য প্রস্তুত ৩ হাজার বাস। থাকছে ৫১টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। ৫৯৪ চিকিৎসক ছাড়াও থাকছেন আরও ৩০০ স্বাস্থ্যকর্মী। হাজিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। করোনা ছাড়া অন্যান্য সংক্রমণে ভোগা রোগী আছে কিনা তাও পর্যালোচনা করা হয়েছে। এমনকি হাজিদের খাবারেও রয়েছে ভিন্নতা। আগেভাগেই খাবার প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম হচ্ছে হজ্ব। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলিমদের ক্ষেত্রে জীবনে অন্তত একবার হজ্ব করা ফরজ। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার আগে প্রতি বছর প্রায় ২৫ লাখ মানুষ হজ্ব করতে ইসলাম ধর্মের পবিত্র দুটি পবিত্র স্থানে যেতেন।
তবে করোনা মহামারির কারণে বড় ধরনের সমাগম নিষিদ্ধ করা হয়। নিষিদ্ধ করা হয় বিদেশি হজ্বযাত্রীদেরও। তাই গত বছর সীমিত পরিসরে স্থানীয় এবং সৌদি অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের হজ্ব করার অনুমতি দেওয়া হয়। এ বছর একই ব্যবস্থাপনায় পবিত্র হজ্ব পালিত হবে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বছর মাত্র ৬০ হাজার মানুষ পবিত্র হজ্ব পালন করতে পারবেন। যারা হজ্ব পালন করবেন তাদের সবাইকে টিকা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের বয়স ১৮ থেকে ৬৫ বছর। গত বছর মাত্র ১০ হাজার সৌদি নাগরিক এবং বাসিন্দা হজ্ব পালন করার অনুমতি পেয়েছিলেন।
করোনার কারণে এবারও সীমিত সংখ্যক ব্যক্তি হজ্ব পালন করতে পারবে এমন ঘোষণা দেওয়ার পরও লাখ লাখ মানুষ আবেদন করেছে বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। সৌদি আরবের হজ্ব এবং ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজ্ব পালনের জন্য নির্ধারিত প্লাটফর্মে গত মাসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাড়ে ৪ লাখে বেশি আবেদন পড়ে।
গত পাঁচ বছরে যারা হজ্ব পালন করেননি এ বছর সেসব ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া হজ্ব করেননি ৫০ বছর বয়সী বা তার চেয়ে বেশি বয়সী ব্যক্তিদেরও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে এবার। এমনকি এবারই প্রথমবারের মতো পুরুষ অভিভাবক ছাড়া হজ্বের জন্য নিবন্ধন করার সুযোগ পেয়েছেন সৌদি নারীরা।
Leave a Reply