ডেস্ক রির্পোট
করোনাভাইরাসে দেশে নিত্য বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যূবরণ করেছে আরও ৫১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের দাঁড়াল ২ হাজার ৫৪৭ জনে। এ সময়ের মধ্যে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৫৭ জনে। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৬২ জন।
শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের মোট নমুনা সংগ্রহ পরীক্ষা হয়েছে ১৩ হাজার ৪৬০টি। এতে ৩ হাজার ৩৪ জন শনাক্ত হন। গত ২ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ১৯ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। করোনাভাইরাসের উৎসস্থল চীনকে ছাড়িয়েছে এ তিনটি দেশই। দেশে ১০ লাখ ৬ হাজার ৭৫১ জনের করোনা পরীক্ষা করে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৫৭ জন। এর ফলে কানাডাকে পেছনে ফেলে বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম। আর এশিয়ার ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। এর আগে রয়েছে ভারত, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান ও সৌদি আরব।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫১ জনের মৃত্যূ হয়। এর আগে ৩০ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৫৪৭ জন।
দেশে করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। প্রতিদিনই সুস্থ হয়ে উঠছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৬২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ আট হাজার ৭২৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যূবরণ করেছে তাদের পুরুষ ৪০ জন ও নারী ১১ জন। এদের মধ্যে ২০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব ৩ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৭ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৫ জন, ষাটোর্ধ্ব ১২ জন, সত্তরোর্ধ্ব ১১ জন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী ২ জন রয়েছেন।
ব্রিফিংয়ের করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন অধ্যাপক নাসিমা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা মোকাবিলায় তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করতে হবে। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাওয়া ও ফুসফুসের ব্যায়াম করা। এ সময় ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ, এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের করোনা আক্রান্ত মায়ের দুধপানে শিশুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার কোনো তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পায়নি। অর্থাৎ, শিশুকে দুধপান করানো যাবে। তবে, এই সময়ে গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখার প্রতি বিশেষ আহ্বান জানানো হয়।
চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।
জোনাকী টেলিভিশন/এসএইচআর/১৭জুলাই ২০২০ইং
Leave a Reply