নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা পরিস্থিতির এসময়ে বাড়ছে ধর্ষণের মত ঘৃন্য কাজ। ‘বলপ্রয়োগে মেয়েদের শীলতাহানী বা পাওয়ার রেপ’ বাড়ার এমনই তথ্য জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বুধবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘করোনার সময় ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। তাই তারা তাদের গন্ডির মধ্যে ধর্ষণের মতো অপরাধ করছে।’
ইমাম হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে পাওয়ার রেপ অতীতে ছিল না। গত দুই থেকে পাঁচ বছর ধরে শুরু হয়েছে। এ ধরনের রেপিস্টরা ভিকটিমকে নিজের এলাকার মধ্যে ধর্ষণ করে। যাতে কোনও প্রকার ঝুঁকি থাকে না। তাকে কেউ বাধা দেয় না। একজনকে ধর্ষণ করে এরা তাদের অপর টার্গেটদের শিক্ষা দেয়। টার্গেটরা প্রস্তাবে রাজি না হলেও তারা বলপ্রয়োগ করে। তাদের এই গ্রুপে ৩-৪ জন করে থাকে।’
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর এলাকায় গত ৪ এপ্রিল ঝড়ের রাতে এক নারীর বাসায় গিয়ে ধর্ষণ করে একটি গ্রুপ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করেছে সিআইডি। এই ধর্ষণের ঘটনাটিও একটি ‘পাওয়ার রেপ’ বলে জানিয়েছে সিআইডি।
পরে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তাধরের তত্ত্বাবধায়নে মঙ্গলবার রাতে নওগাঁওয়ের নজিপুর এলাকা থেকে ইয়াছিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইয়াছিন মোল্লা জিজ্ঞাসাবাদে তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় সিআইডি। তবে এখনও পলাতক মূলহোতা হেমায়েত।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তাধর এবং জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার জিসানুল হক উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply