নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে অনলাইনে শিক্ষাদান কার্যক্রম চলবে বলে তিনি জানান।
আজ বৃহস্পতিবার দেশের প্রায় সাড়ে চার কোটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বই উৎসবের উদ্বোধনকালে তিনি এই কথা জানান।
করোনার পরিস্থিতিতে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এরপরেও স্কুল খোলা সম্ভব না হলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে পাঠদান চলবে। ভর্তির কার্যক্রমও অনলাইনে চলবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাঠ কার্যক্রম যেন ঠিকমতো চলে সেজন্য আমরা করোনাকালীন সময়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছি। করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে স্কুল শিক্ষার্থীরা।
তিনি আরও বলেন, তারা (শিক্ষার্থীরা) যেন নতুন বইটা পায়, নতুন বইয়ে নিজের নামটা লিখতে পারে, নতুন বইয়ের মলাট ওলটানোর আনন্দটা পায় সেই চেষ্টা করেছি আমরা।
সরকার প্রধান বলেন, ‘শিক্ষা ছাড়া একটি জাতি কখনো উন্নত হতে পারে না। আমরা জাতিকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে চাই, দারিদ্রমুক্ত করতে চাই। আমি জানি, শিক্ষিত জাতি ছাড়া কখনো দারিদ্রমুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা শিক্ষাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছি। সেইসঙ্গে আমাদের যে শিক্ষার্থীরা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, তাঁদের জন্য ব্রেইল বই; এ ছাড়া আমাদের যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আছে, যেমন চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদ্রী-তাদের ভাষায় আমরা বই বিতরণ করে যাচ্ছি, যাতে তারা মাতৃভাষায় শিক্ষা নিতে পারে ‘
প্রধানমন্ত্রী সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ জানান। তবে শুধু ঘরে বসে না থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সবাইকে খোলা ও আলো-বাতাসপূর্ণ জায়গায় বের হওয়ার পরামর্শও দেন।
প্রধানমন্ত্রীকরোনা পরিস্থিতির মধেও পাঠ্যপুস্তক ছাপানো এবং বিতরণের ব্যবস্থা সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান । একই সঙ্গে ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে, একসঙ্গে যাতে বেশি সমাবেশ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ভাগে ভাগে বইগুলো বিতরণের পরামর্শ দেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহাসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply