নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) বিপর্যস্ত বিশ্ব। বাদ পড়েনি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশটিও। মাত্র কিছূ দিনের ব্যবধানে নিরব-নিথর করে দিয়েছে প্রাণচঞ্চল দেশটাকে। শিশু থেকে বৃদ্ধা, রাস্তায় পড়ে থাকা নিম্নস্তরের মানুষ থেকে রাস্ট্রপ্রধান পর্যন্ত কেউ রেহাই পাচ্ছে না করোনার থাবা থেকে। কোন ব্যক্তি শরীরে করোনা শনাক্ত হলে বা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার পাশে কাউকে পাওয়া যায় না। করোনায় মৃত মানুষটির পরিবারের মা, বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী সন্তান তারাও নিরাপদ দুরত্বে অবস্থান করতে দেখা গেছে। ঠিক এই সময় নাট্যনির্মাতা, প্রযোজক শেখ রুনা নিজের ইচ্ছায় করোনা রোগীদের সেবাদানে একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এগিয়ে এলেন। রাজধানীর মিরপুর-১২ নম্বরে অবস্থিত রিজেন্ট হাসপাতালে একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন বেশ কয়েকদিন যাবৎ, যা এই মুহূর্তে ভীষণ চ্যালেঞ্জিংই বলা চলে।
শেখ রুনা বলেন, ‘আমার বাবা-মা খুব দুশ্চিন্তা করছেন। কিন্তু তাদের আমি বলেছি যে, মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক বাবা-মায়ের সন্তানই যুদ্ধে গিয়ে শহীদ হয়েছেন, দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন, আমিও না হয় করোনার মতো মহামারীতে মানুষের জন্য নিজেকে নিবেদিত করলাম। যদি বেঁচে যাই ইনশাআল্লাহ সবার সঙ্গে দেখা হবে। দেশব্যাপী করোনা মহামারী আকার ধারণ করেছে তাতে মানুষের জন্য সম্মুখে এসে কাজ করছি। মানুষের জন্যই নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে যেতে চাই।’
Leave a Reply