ডেস্ক রির্পোট
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। টানা দুদিন ৪২ মৃত্যুর পর করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক লোক মৃত্যূ বরণ করেছে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যূ বরণ ৪৫ জন । এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৭৫ জনে। এছাড়া এ সময়ে নতুন শনাক্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৭১ জন। যা একদিনে সর্বোচ্চ সনাক্তের রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট শনাক্ত রোগির সংখ্যা ৭১ হাজার ৬৭৫ জন। আর নতুন সুস্থ হয়েছেন ৭৭৭ জন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাস সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৬৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পরীক্ষা ৩ হাজার ১৭১জনের করোনা শনাক্ত হয়। এটি এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যা। এর আগে গত ২ জুন এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯১১ জনের করোনা শনাক্তের কথা জানানো হয়। এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৫ জনের করোনা পরীক্ষা করে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭১ হাজার ৬৭৫ জনে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১.৬২ শতাংশ।
নাসিমা আরও জানান, এই সময়ে মৃত্যু বরণ করেছেন ৪৫ জন। টানা দুদিন ৪২ মৃত্যুর পর সে সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়িয়ে গেল। তার আগে গত ৩১ মে একদিনে সর্বোচ্চ ৪০ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। এ নিয়ে মোট মৃত্যু ৯৭৫ জনের। নতুন মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩৩ জন ও নারী ১২ জন।
নতুন মৃতদের মধ্যে ঢাকার ২৮ জন ও চট্টগ্রামের ১১ জন ও রাজশাহী, সিলেট ও রংপুরে ২ জন করে।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সুস্থ হয়েছেন ৭৭৭ জন। এ নিয়ে মোট ১৫ হাজার ৩৩৬ জন সুস্থ হয়েছেন। ব্রিফিংয়ের করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন অধ্যাপক নাসিমা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা মোকাবিলায় তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করতে হবে। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাওয়া ও ফুসফুসের ব্যায়াম করা। এ সময় ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ, এটি ফুসফুসের কার্যকারীতা নষ্ট করে দেয়।
চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর।
এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।
ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনও অব্যাহত আছে। ৭ম দফায় বাড়ানো ছুটি চলে ৩০ মে পর্যন্ত। ৩১ মে থেকে সাধারণ ছুটি নেই। তাই অফিস আদালতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় সরঞ্জামাদি রাখা ও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরত্ব দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে।
জোনাকি টেলিভিশন/এসএইচআর/০৯-০৬-২০ইং
Leave a Reply