নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হয়রানিমূলক মিথ্যা অপহরনের অভিযোগ এনে থানায় সাধারণ ডায়েরী করায় প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী। বুধবার বিকেলে উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের একুতা গ্রামে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। একুতা গ্রামের বয়োবৃদ্ধ আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই গ্রামের মৃত আবুল হাসেম শেখের পুত্র অভিযুক্ত আলম শেখ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার ভোগদখলকৃত সম্পত্তি ওই গ্রামের সামুদ আলীর পুত্র মামলাবাজ ভূমিদস্যূ মিজানুর রহমান একুতা মৌজাস্থ ২০৬ নং সিএস ও এসএ এবং আর এস ৫৪৮ নং দাগের ৪২ শতাংশ থেকে ২৩.৭৫ শতাংশ জমি ভূয়া দলিল সৃজন করে প্রাণ আরএফএল কোম্পানীর কাছে বিক্রি করে দেয়। ওই জমি আলম শেখ ১৯৮১ সালের ২৭ মার্চ ২৪০২ ও ২৪০৩ দলিল মূলে ক্রয় করিয়া নিজ নামে নামজারী ও জমাভাগ নথি ভুক্ত করে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করিয়া ভোগদখল করে আসছেন। গত ১০ জুলাই ভূমিদস্যূ মিজানুর রহমান ভাড়া করা সন্ত্রাসীবাহিনী নিয়ে বিক্রয়কৃত জমি প্রাণ আরএফএল কোম্পানীকে দখল বুঝিয়ে দিতে আসলে আলম শেখ তাতে বাধা দেয়। এসময় সন্ত্রাসীরা তাকে গালমন্দসহ মারধোর করে। পরে তারা প্রাণনাশে হুমকি প্রদান করে চলে যায়। আলম শেখ তার জমি ভূমি দস্যূদের হাত থেকে রক্ষা করতে আদালতের স্মরণাপন্ন হয়। তিনি গাজীপুরের ৫ম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করেন। যার মামলা নং -৫৬/২০২০।
বিজ্ঞ আদালত বাদী আলম শেকের আর্জি আমলে নিয়ে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এনে ওই ভূমি দস্যূ চক্র ক্ষিপ্ত হয়ে আলম শেখকে ঘায়েল করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। মিজানুর রহমান পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র মাফিক গত ২৮ অক্টোবর তাকে ফাঁসাতে আত্মগোপন করে। পরে তার স্ত্রী জ্যোস্না বেগম কালীগঞ্জ থানা উপস্থিত হয়ে আলম শেখের নাম উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরী করে। প্রতিবাদ সভায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মতিউর রহমান, আবদুল মান্নান, ফকরুল ইসলাম ফরিদ ও মানবাধিকার কর্মী আয়েশা আক্তার। বক্তারা ষড়যন্ত্রমূলক থানা মিথ্যা সাধারণ ডায়েরী তীব্র নিন্দা জানান। এদিকে বুধবার বিকেলে আত্মগোপন থেকে ফিওে আসে মিজানুর রহমান। পরে তিনি তার স্ত্রী জ্যোস্না বেগমকে সাথে নিয়ে থানা গিয়ে নিজে আত্মগোপনে থাকার কথা স্বীকার করে সাধারণ ডায়েরী তুলে নেন।
Leave a Reply