নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচন আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ৭৩৫টি কেন্দ্রে এরই মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ অন্যান্য নির্বাচনি সরঞ্জাম। এ ছাড়া কঠোর নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্র ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা রক্ষায় প্রায় ১৪ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। এর মধ্যে নয় হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া গতকাল সোমবার বিকেল থেকে মাঠে নেমেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তাঁরা নগরীতে টহল দিচ্ছেন।
এদিকে, ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, এপিবিএনের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে তিনটি ওয়ার্ড মিলে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকছে। এ ছাড়া একটি করে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্সও থাকবে। দুটি ওয়ার্ডে এক প্লাটুনে ১০ জন করে বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকছে। প্রতি প্লাটুনে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এ ছাড়া নৌপুলিশও দায়িত্বে থাকবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন চট্টগ্রাম মহানগরীতে কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলসহ সাত ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ২৭ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত যানবাহনসমূহ হলো- ট্রাক, পিকআপ, বেবি টেক্সি, মাইক্রোবাস, কার, জিপ, এবং অটোরিকশা/ইজিবাইক, ।
এছাড়া ২৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৮ জানুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ মো. আবদুর রউফ জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন এলাকায় সাত ধরনের যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
উপরোল্লিখিত নিষেধাজ্ঞা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাঁদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।
তাছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনে বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরী কাজ যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রম ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
Leave a Reply