অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশকে আরও ৫ হাজার ১৬১ টি পণ্য শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুবিধা দিচ্ছে চীন। এর আগে বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের (এপিটিএ) আওতায় ৩ হাজার ৯৫ টি পণ্য শুল্কমুক্ত হিসেবে রপ্তানি করতে পারত।
সব মিলিয়ে ৮ হাজার ২৫৬টি পণ্য এখন বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত হিসেবে চীনে রপ্তানি করতে পারবে। এ সুবিধা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
শুক্রবার (১৯ জুন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই সুবিধা পাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে এবং দুই দেশের বাণিজ্য বৈষম্যও কমবে বলে মন্ত্রণালয় আশা করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীন বাংলাদেশের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার দেশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চীন থেকে বাংলাদেশে আমদানির পরিমাণ ছিল প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিপরীতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ছিল এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও কম। এ বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে চীনে শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানির সুবিধা চেয়ে আসছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ আলোচনা ও দর কষাকষির পর এবার সে সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
জানা যায়, চীন ২০১০ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা দিয়ে আসছে। শুরুতে বাংলাদেশসহ কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকা ৩৩টি স্বল্পোন্নত দেশকে ৬০ শতাংশ ট্যারিফ লাইন দেয় দেশটি। দেখা যায়, বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য অনেক পণ্যই এই সুবিধার বাইরে ছিল। এসব পণ্য যেন শুল্কমুক্তভাবে চীনে রপ্তানির সুবিধা পাওয়া যায়, চীনকে সে অনুরোধ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। দীর্ঘ আলোচনা ও দরকষাকষি শেষে গত ১৬ জুন চীন বাংলাদেশকে শর্তহীনভাবে ৯৭ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা দিতে আদেশ জারি করে।
এই আদেশ অনুযায়ী, আগামী ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ মোট ৮ হাজার ২৫৬টি পণ্য চীনের বাজারে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধায় রপ্তানি করতে পারবে। এর জন্য বাংলাদেশকে কোনো ধরনের শুল্ক দিতে হবে না।
জোনাকী টেলিভিশন/এসএইচআর/১৯-০৬-২০ইং
Leave a Reply