নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকার ঘোষিত দীর্ঘ ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষ হচ্ছে আগামীকাল। ছুটি শেষ হওয়ায় কর্মস্থলে যোগ দিতে মানুষ রাজধানী ঢাকা মুখি হচ্ছে।ইতোমধ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে হাজারে হাজার মানুষ ফিরছেন ঢাকায়।
শনিবার (৩০শে মে) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন মহাসড়কগু্লোতে দেখা গেছে মানুষের ঢল।ওই সব স্থানগুলোতে মানুষের ঢল থাকলেও স্বাস্থ্যবিধির নূন্যতম বালাই নেই কারো মাঝেই।
এ ব্যাপারে যাত্রীদের অভিযোগ, গণপরিবহন আগে না খুলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় ভোগান্তির মাত্রা কয়েকগুন বেড়ে গেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগে কয়েকগুন বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে ভাড়ায় চালিত নিজত্ব পরিবহন চালকরা। ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী বহন করায় চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি মাথায় নিয়েই জীবন-জীবিকার তাগিদে ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় ফেরা মানুষগুলি।
সরেজমিনে লক্ষ্য করা গেছে, এদের মধ্যে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ ও দিন আনি দিন খাই শ্রমজীবী মানুষেরা। কিছুটা আর্থিক সংগতিতে থাকা মানুষেরা প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে যাতায়াত করলেও আর্থিক অসংগতিতে পড়া মানুষগুলি ট্রাক, খোলা পিকআপ, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছেন।
এদিকে, গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরেও শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে শনিবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। যা গণপরিবহন বন্ধ থাকা যে কোন সময়ের সর্বোচ্চ আদায় বলে জানিয়েছে বিবিএ সূত্র। সূত্র মতে, গেল ২৪ ঘন্টায় সেতুতে পারাপার হয়েছে ২২ হাজার গাড়ি। যারমধ্যে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার, মোটর সাইকেলের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার ও বাকি ৭ হাজার ছোট ছোট ট্রাক ও পিকআপ।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, মহাসড়কে ছোট ছোট যানবাহনের চাপ বেড়েছে। নির্দেশনা মোতাবেক চেকপোস্ট বসিয়ে গণপরিবহন ও ট্রাক পিকআপে যাত্রী পরিবহন করতে দেয়া হচ্ছেনা। আগামীকাল পর্যন্ত এই চাপ থাকবে বলেও জানান তিনি।
জোনাকি টেলিভিশন/এসএইচআর/৩০-০৫-২০ইং
Leave a Reply