1. mostafa0192@gmail.com : admin2024 :
শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডা. সাবরিনা আরিফকে গ্রেপ্তার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১২ জুলাই, ২০২০
  • ১৮৪ বার পঠিত
ডা. সাবরিনা আরিফ

ডেস্ক রির্পোট

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার ঘটনায় জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (১২ই জুলাই) ডা. সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের তেজগাঁও ডিসি কার্যালয়ে ডাকা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘তদন্তে জেকেজির প্রতারণার সঙ্গে ডা. সাবরিনা আরিফের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’

ডা. সাবরিনা কখনো বাংলাদেশের প্রথম মহিলা কার্ডিয়াক সার্জন, কখনো বা বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান জেকেজির চেয়ারম্যান এমন পরচিয় দিয়ে সমালোচনার মুখে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এর চিকিৎসক সাবরিনা।

তবে গ্রেপ্তারের আগে সাবরিনা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে, তিনি পরিস্থিতির শিকার বলে দাবি করেছেন। অন্য জায়গা থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য তাকে টার্গেট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এর আগে ভুয়া করোনা রিপোর্ট তৈরির জন্য আরিফ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে, জেকেজি হেলথকেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনার আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটির ল্যাপটপে তৈরি করা হয়। জব্দ করা ল্যাপটপে এর প্রমাণ মিলেছে।

ল্যাপটপে তৈরি করা রিপোর্টের তদন্ত করতে নেমে পুলিশ প্রথমে জেকেজির সাবেক গ্রাফিক ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর ও তার স্ত্রী জেকেজির চিফ নার্সিং অ্যাডভাইজার তানজীনা পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ অভিযান চালিয়ে পুলিশ ২৩ জুন জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরীসহ জেকেজির প্রধান উপদেষ্টা সাঈদ চৌধুরী, আইটি কর্মকর্তা বিপ্লব দাস ও অফিস সহকারী আলামিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া অধিকতর তদন্তের জন্য জেকেজির পাঁচটি ল্যাপটপ, দুটি ডেস্কটপ এবং করোনার নমুনা সংগ্রহের তিন হাজার কিট জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তারকৃতদের দুদিনের রিমান্ডে আনে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে হুমায়ুন ও তানজীনা দাবি করেন জেকেজির সিইও আরিফুল হক তাদের এই কাজে বাধ্য করেছেন। চাকরি ছেড়ে দেয়ার পর হুমায়ুনকে জেকেজিতে আটকে রাখা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে কাজ করতে রাজি হলে তাকে ছাড়া হয়।

 

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, জেকেজি বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের জন্য ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পৃথক ছয়টি স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করেছিল। এসব এলাকা থেকে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করতো জেকেজি। শর্ত ছিল, সরকার–নির্ধারিত করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবরেটরিতে নমুনা পাঠাতে হবে। জেকেজি হেলথকেয়ার, ওভাল গ্রুপের একটি অঙ্গসংগঠন।

জোনাকী টেলিভিশন/এসএইচআর/১২ জুলাই ২০২০ইং

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 Jonaki Media and Communication Limited
Design By Khan IT Host