ডেস্ক রির্পোট
আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে চিকিৎসা ক্ষেত্রে হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন।এসেছে আমুল পরিবর্তন।তবে মৃত্যুকে জয় বা মৃত মানুষকে নতুন জীবিত করে তোলার সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের সাথে সাথে দেশ এগিয়ে গেলেও সমাজের কোথাও কোথাও রয়ে গেছে ঘোর অন্ধকারে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের ।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শালদাইর গ্রামের মানিক খানের আড়াই বছরের শিশু আবদুল্লাহ পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়। শিশুটিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলেও বাড়িতে নিয়ে কবিরাজের চিকিৎসায় শিশুটিকে জীবিত করতে লবন দিয়ে পুরো শরীর ঢেকে দেয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার শালদাইর গ্রামের মানিক খানের শিশু সন্তানকে রেখে তার মা ধান শুকানোর কাজ করছিলেন। পরে শিশুটি খেলতে খেলতে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। এদিকে শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে তার মা আশপাশে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পরে শিশুর মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখে চিৎকার করতে থাকে তার মা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে শিশুর মরদেহ বাড়িতে নেয়ার পর তাকে জীবিত করতে এক কবিরাজ শরীরে লবন দিয়ে ঢেকে দেন। প্রায় ঘন্টা দুয়েক শরীর লবন দিয়ে ঢেকে রাখা পর শিশুর প্রাণ না ফেরায় সন্ধ্যার আগে তাকে মরদেহ দাফন করা হয়।
জোনাকি টেলিভিশন/এসএইচআর/০২-০৬-২০ইং
Leave a Reply