মো. মোস্তফা খান, নরসিংদী:
এই করোনাকালে যদি আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ না হতো তাহলে আমরা কিন্তু অবস্থান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতাম। বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতাম। আজকে কিন্তু আমরা বিচ্ছিন্ন হই নাই। ২০০৯ সালে যখন আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলো ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো। অনেকেই কিন্তু হাসাহাসি করেছে। আজকে কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আমরা পাচ্ছি। সাংবাদিকদের ভূমিকা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। কারন, আমরা এক সময় সকাল আটটা সময় ষ্টেশনে এসে জানতাম দেশে কি হয়েছে। আর এখন কেউ কাউকে জিজ্ঞাসাও করে না। রাতেই সব খবর পেয়ে যায়। এতে সাংবাদিকদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে নরসিংদীর রায়পুরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের মধ্যে মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান, সেম্পুসহ করোনা সুরক্ষা সামগ্রী, কম্পিউটার সেট ও প্রিন্টার প্রদানকালে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এ্যাড. এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছার এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মনে করি এদেশের মানুষ আওয়ামীলীগের উপর বরাবরই আস্থা রেখেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রেখেছে এবং শেখ হাসিনাও আস্থার প্রতিদান দিতে পেরেছে। করোনাকালিন পরিস্থিতিতে সারাদেশে সাংবাদিকদের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আর্থিক অনুদান দিচ্ছে। তবে সাংবাদিকদের প্রতিকুলতা অবস্থার মধ্যে বাস করতে হয়।
প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুল আলম লিটনের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সকালে রায়পুরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এসব সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
সাধারণ সম্পাদক এম নুরউদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমান উদ্দিন ভুইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক একেএম মহিউদ্দিন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মহসিন খোন্দকার, কৃষি সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক নজরুল ইসলাম করিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি দীপু মাহমুদ, সহ-সভাপতি এনায়েত উল্লাহ ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক বাবু রঞ্জন সাহা, রায়পুরা প্রেসক্লাবের নির্বাহী উপদেষ্ঠা মো. ফারুক মিয়া, মোসলেহ উদ্দিন বাচ্চু, সাবেক সভাপতি বশির আহম্মেদ মোল্লা প্রমূখ।
Leave a Reply