ডেস্ক রির্পোট
রাখে আল্লাহ মারে কে? দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা পর বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া লঞ্চের ভেতর থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি। সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ডুবুরিরা যখন টিউবের মাধ্যমে লঞ্চটি ওপরে তোলার চেষ্টা করছিলেন এবং লঞ্চটির একাংশ ওপরে উঠে আসছিল ঠিক তখনই ওই ব্যক্তি লঞ্চ থেকে বেরিয়ে আসেন।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ডুবুরিরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে লাইফ জ্যাকেটে ঢেকে এবং শরীর মেসেজ করে তার শরীর গরম করার চেষ্টা করেন। এরপর ওই ব্যক্তি চোখ মেলে তাকান।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম সুমন ব্যাপারী। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর আব্দুল্লাহপুর। তাকে মিডফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সুমনের জীবিত উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি ডিরেক্টর দেবাশিষ বর্ধন। তিনি বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি উদ্ধার হওয়া এই ব্যক্তি সম্ভবত ইঞ্জিন রুমে ছিলেন। সাধারণত ইঞ্জিন রুম এয়ারটাইট হওয়ার কারণে সেখানে পানি প্রবেশ করে না। ১০টা ১০ মিনিটের দিকে কুশন পদ্ধতি ব্যবহার করে জাহাজ ভাসানোর চেষ্টা করা হলে সম্ভবত ইঞ্জিনরুম খুলে যায়। সে সময় তিনি বের হয়ে আসেন। এবং উদ্ধারকর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন।’ তিনি আরও জানান, জরুরি ভিত্তিতে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কোস্টগার্ড ও নেভির কর্মকর্তারা জানান, তারা যখন উদ্ধার হওয়া সুমনকে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছিলেন তিনি চোখের ইশারায় কথার জবাব দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে দীর্ঘ সময় পানির নিচে আটকে থাকায় তার শরীরের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল। পানির নিচে তলিয়ে গেলেও এ ব্যক্তি কীভাবে বেঁচে গেলেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি যেখানে আটকা পড়েছিলেন সেখানে হয়তো সেভাবে পানি প্রবেশ করেনি। যখন টিউবের মাধ্যমে বিশেষ প্রক্রিয়ায় লঞ্চটি তোলার চেষ্টা করা হচ্ছিল তখন লঞ্চটি সামান্য ভেসে ওঠার পর ওই ব্যক্তি নিজের প্রচেষ্টায় বেরিয়ে আসেন এবং উদ্ধার কর্মীরা তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে নৌকায় তুলেন।
সোমবার (২৯ জুন) রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ডুবে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জোনাকী টেলিভিশন/এসএইচআর/২৯-০৬-২০ইং
Leave a Reply