অনলাইন ডেস্ক
কাশ্মীর অঞ্চলের লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হয়েছে বলে মঙ্গলবার দাবী করেছে ভারত। সংঘর্ষে তিন ভারতীয় সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন কর্নেল পদমর্যাদার ও দুজন সেনা জওয়ান বলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
সোমবার রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখায় সংঘর্ষে দু’পক্ষের মধ্যে কোন গুলি বিনিময় হয়নি। পাথর ও রড নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি অনলাইন।
১৯৭৫ সাল অর্থাৎ ৪৫ বছর পর এই প্রথম ভারত-চীন সীমান্তে সামরিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। ওই বছর অরুণাচল প্রদেশের চিন টুলুং লায় আসাম রাইফেলসের টহলদার বাহিনীর উপর চীনের হামলায় চার ভারতীয় সেনা নিহত হয়।
মঙ্গলবার ভারতীয় সূত্র দাবি করে, সংঘর্ষে চীনের সেনারও মৃত্যু হয়েছে। তবে চীন হতাহতের ব্যাপারে কোনো তথ্য জানায়নি।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গলওয়ান উপত্যকায় উত্তেজনা প্রশমন প্রক্রিয়া চলাকালে গতকাল রাতে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে, উভয়পক্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে ভারতীয় সেনার এক কর্মকর্তা ও দুই জওয়ান রয়েছে। দু’পক্ষের জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বৈঠক করছেন।’
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে চীনা বাহিনীর সদস্যদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল।
ঝাও লিজিয়ান অভিযোগ করেন, ভারত ‘চীনের সৈন্যদের উস্কানি দিয়েছে এবং তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, যার ফলে এই প্রাণঘাতী সংঘর্ষ ঘটেছে।’
ঘটনার পরপর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়াত মঙ্গলবার দুপুরে স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।
গত প্রায় দেড় মাস ধরে লাদাখের ভারত ও চীনের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। বেশ কয়েকবার দুই পক্ষের সেনাদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। তবে ৬ জুনের বৈঠকের পর পরিস্থিতির উন্নতি হয়। সীমান্ত পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সোমবার দুই পক্ষের ব্রিগেডিয়ার পর্যায়ের বৈঠকও শুরু হয়েছিল।
জোনাকী টেলিভিশন/এসএইচআর/১৬-০৬-২০ইং
Leave a Reply