জাতিকে মেধাশূণ্য করতে স্বাধীনতা বিরোধীরা ২৫ মার্চ থেকে স্বাধীনতার পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্বিজীবী, উকিল, ডাক্তার থেকে শুরু করে সকলকে হত্যা করে। হানাদার বাহিনীর নিশ্চিত পরাজয় জেনে যখন আমরা বিজয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন আজকের এই ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা শিক্ষক, যাদের লেখনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে, যাদের চেতনা আমাদের উজ্জিবিত করেছিল সেই ষাটের দশকে, সেই প্রথিতযশা শিক্ষকদের ১৪ ডিসেম্বর মিরপুর বধ্যভূমিতে নিয়ে হত্যা করা হয়। ১৬ই ডিসেম্বরই শেষ হয়ে যায়নি। তারপরও কিছু কিছু আন্ত:যুদ্ধ চলছিল। যারফলে জহির রায়হানের মতো লোককেও আমরা খোঁজে পাইনি। স্বাধীনতা পাওয়ার পর কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর তারা আবার ৭৫ ঘুরে দাড়িয়েছিল।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে নরসিংদী জেলা প্রশাসন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী এড. নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন একথা বলেন।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন এর সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হাসান, সিভিল সার্জন ডা: মো: হেলাল উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সফর আলী ভূইয়া, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রফেসর সূর্যকান্ত দাস, নরসিংদী চেম্বারের প্রেসিডেন্ট আলী হোসেন শিশির ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল মোতালিব পাঠান।
মোতাহার হোসেন অনিকের উপস্থাপনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমরুল কায়েস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কমল কুমার ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী আশরাফুল ইসলাম, সদর উপজেলাি নর্বাহী কর্মকর্তা এ এইচএম জামেরী হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহ আলমসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সবশেষে জেলা প্রশাসক ভবনের সামনে প্রধান সড়কে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জলন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন অতিথিবৃন্দ।
Leave a Reply