নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার একদুয়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জি. মো. আনিসুজ্জামান সরকার মিটুল সমাজসেবায় অনবদ্য অবদানের জন্য স্বর্ণ পদকে ভূষিত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম এলজিএসপিতে ‘এ’ গ্রেডভুক্ত শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান সম্মননা স্বরূপ তাকে এ পদক প্রদান করেন।
একদুয়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২০১৬ সালে তার প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
মনোহরদী-বেলাব এর মাননীয় সংসদ সদস্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মান্যবর শিল্পমন্ত্রী এ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন মহোদয়ের আশির্বাদপুষ্ট ইঞ্জি. মো. আনিসুজ্জামান সরকার মিটুল চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করে েএলাকাবাসীর প্রসংশা কুড়াচ্ছেন। জনগনকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে নিরন্তর প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন শিল্প মন্ত্রীর ভ্যানগার্ড হিসেবে খ্যাত ইঞ্জি. মো. আনিসুজ্জামান সরকার মিটুল চেয়ারম্যান।
ছাত্র জীবনে সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিউট ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-এর মনোনয়ন নিয়ে এ,জি, এস নির্বাচিত হন। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, একদুয়ারিয়া ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও পরপর দুই মেয়াদে সম্পূর্ণ নিষ্ঠা ও সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ইঞ্জি. মো. আনিসুজ্জামান মিটুল।
এলাকাবাসী জানায়, করোনা মহামারী কালীন সময়ে চেয়ারম্যান মিটুল মাননীয় শিল্পমন্ত্রী এ্যাড. নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন এমপি মহোদয়ের নির্দেশে একদুয়ারিয়া ইউনিয়ন বাসীর সার্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও ব্যক্তিগত খরচে ত্রাণ বিতরণ, পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনকে সহযোগীতার জন্য দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।
আপন মনে নিরবে নিভৃতে সবার পাশে দাড়িয়েছেন সব সময়। নিজের একান্ত প্রচেষ্টায় একদুয়ারিয়া ইউনিয়ন এলাকায় তৈরী করেছেন বেশ কিছু মসজিদ। ইসলামি শিক্ষার কথা চিন্তা করে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন বেশ কিছু মাদ্রাসার। সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী মানবতার নিবেদিত এই কর্মী সনাতন ধর্মালম্বী হিন্দু জনগণের পাশেও সব সময় দাড়িয়েছেন । নির্মাণ করেছেন মন্দির, সংস্কার করেছেন শশান ঘাট, ভরসা যোগিয়েছেন সবার। রোধ করেছেন সংখ্যা লঘু অত্যাচার। মাদকের বিরুদ্ধে সবসময় যার ছিলো জিরো টরারেন্স। ইতিমধ্যে তিনি ইউনিয়ন কে মাদক মুক্ত করতে প্রত্যেকটি সভা সেমিনারে কঠিন হুশিয়ারী ও জনসচেতনামূলক কার্যক্রমে ভূয়সি প্রসংশাও কুড়িয়েছেন।
এলাকার মানুষের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে ইউনিয়নের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিবির তদারকি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের গভর্নিং বডি, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে রয়েছে উনার প্রাত্যহিক যোগাযোগ। এলাকার জন সাধারনের চিত্ত বিনোদনের জন্য পার্ক বৈশাখী বেলা গঠনে ছিল তার অগ্রণী ভূমিকা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য নিমার্ণ করেছেন প্রশস্ত সড়ক, সংস্কার করেছেন রাস্তাঘাট, করেছেন নতুন রাস্তা নির্মাণ। একজন সফল সমাজ সেবক হিসেবে একদুয়ারিয়া ইউনিয়ন এলাকায় ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছেন ইঞ্জি মো. আনিসুজ্জামান সরকার মিটুল চেয়ারম্যান। নিজ এলাকার মানুষের সমস্যা ও তার সমাধানে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি।
এলাকার সকল উন্নয়নেই মানব সেবায় ব্রত এই মহান মানুষটির হাতের ছোয়া রয়েছে। নিজ কর্ম গুন, সততা, নিষ্ঠা আর নিরলস পরিশ্রম দিয়ে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম কর্তৃক এলজিএসপিতে ‘এ’ গ্রেডভুক্ত শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান সম্মননা স্বরূপ পেয়েছেন কর্ম জীবনের সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বর্ণ পদক। সেই সাথে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের আজীবন সদস্য হিসেবে মনোনীত-ও হন মিটুল চেয়ারম্যান। একদুয়ারিয়া ইউনিয়ন এলাকা ছাড়িয়ে সে সম্মানে সম্মানিত হয়েছে গোটা মনোহরদীবাসী। মানব সেবার এই অতন্ত্র প্রহরীর সুনিপুন মেধা ও প্রজ্ঞা নাগরিক সেবাকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার বিরল দৃষ্টান্ত ইতিমধ্যেই জনমনে আশার আলো সঞ্চার করেছে। যার ফলশ্রুতিতে মনোহরদী উপজেলার মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে একমাত্র একদুয়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদকে এনে দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক ও বাংলদেশ সরকারের এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বরাদ্দ থেকে জেলা প্রশাসকের বিশেষ উদ্যোগে একটি অত্যাধুনিক এম্বুলেন্স। কর্মমুখী শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনে যুগ-উপোযোগী, সঠিক দিক-নির্দেশনা প্রদান ও পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে যুব সমাজের আইকন হিসেবে পরিনত হয়েছে জনপ্রিয় এই চেয়ারম্যান।