1. mostafa0192@gmail.com : admin2024 :
শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩০ পূর্বাহ্ন

দেশের বিভিন্ন স্থানে আগাম ঈদ উদযাপন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৪ মে, ২০২০
  • ২১৫ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় আগাম ঈদ পালিত হচ্ছে।দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতটি উপজেলার অর্ধশত গ্রাম ও চাঁদপুরের পাঁচটি উপজেলার ৪০টি গ্রামসহ দেশের এলাকায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ রবিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। দেশে প্রচলিত নিয়মের একদিন আগেই তারা ঈদ উদযাপন করছেন।

ইতোমধ্যেই গ্রামগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর কাছে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মুনাজাত করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ জামাত, জামাত শেষে কোলাকুলি ও হাত মেলাতে মানা থাকলেও অনেক জায়গায় তা মানা হয়নি। নামাজ শেষে মুসল্লিরা কুশল বিনিময় করেন।

আজ সকাল সাড়ে সাতটায় সাতকানিয়ার মীর্জাখীল দরবার শরিফে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে দরবারের সাজ্জাদানশীন মাওলানা ড. মোহাম্মদ মকছুদুর রহমানের ইমামতি করেন। সাতকানিয়া মীর্জারখীল দরবার ও চন্দনাইশ জাহাঁগিরিয়া দরবার শরিফের অনুসারীরা আড়াই’শ বছর ধরে এদেশে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন।

আজ দক্ষিণ চট্টগ্রামে যেসব গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে- সাতকানিয়ার মীর্জারখীল, চরতি, সুইপুর, গাটিয়াডাঙ্গা ও কেরাণীহাট, পটিয়া উপজেলার কালারপোল, হাইদগাঁও, মল্লপাড়া ও বাহুলী, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, গাছবাড়িয়া, হারালা, বাইনজুড়ী, কানাইমাদারি ও ঢেমশা, আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ, বরুমছড়া, বারখাইন, সরকারহাট, গহিরা ও বারশত, বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, পূর্ব গোমদণ্ডী ও পশ্চিম কধুরখীল, বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, পুঁইছড়ি ও ডোমার এবং লোহাগাড়ার ধর্মপুর ও কলাউজান।

অন্যদিকে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে আজ রবিবার ঈদ করছে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামের মানুষ। দীর্ঘ ৯২ বছর ধরে এসব গ্রামে আগাম রোজা শুরু ও ঈদ উদযাপিত হয়ে আসছে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর, শাহরাস্তি ও কচুয়া উপজেলার ৪০টি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ সৌদির সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা ও ঈদ পালন করেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় সকাল পৌঁনে ১০টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী। এরপর ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ১৯২৯ সালে দেশে আগাম ঈদের প্রচলন করেন সাদ্রা দরবার শরিফের তৎকালীন পীর মরহুম ইসহাক চৌধুরী।

যেসব গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বেলচো, জাঁকনি, প্রতাপপুর, বলাখাল, মনিহার, গোবিন্দপুর ও দক্ষিণ বলাখাল। ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, সেনাগাঁও, বাসারা উভারামপুর, উটতলী,মুন্সিরহাট, মূলপাড়া, গল্লাক, আইটপাড়া, বদরপুর, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, পাইকপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, কাইতাড়া, নুরপুর, শাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা ও চরদুখিয়া। মতলব দক্ষিণ উপজেলার দশআনী, মোহনপুর, পাঁচআনী। কচুয়া উপজেলার উজানি এবং শাহরাস্তি উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 Jonaki Media and Communication Limited
Design By Khan IT Host