ডেস্ক রির্পোট
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিদিনই বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্টা দিয়ে বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যা। করোনার সংক্রমণ বিবেচনায় লাল, হলুদ ও সবুজ রঙের জোন ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর মধ্যে লাল রং চিহ্নিত এলাকায় সংক্রমণের হার বিবেচনায় কিছু এলাকাকে লকডাউন করে রাখা হবে। পরীক্ষামূলকভাবে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকাকে এরই মধ্যে লকডাউন করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৮ টি এলাকা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি এলাকা এবং চট্টগ্রাম সিটির ১১টি এলাকাকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও রেডজোনে আছে গাজীপুর জেলার সবক’টি উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ সদর, আড়াইহাজার, রুপগঞ্জ। করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটি এই জোন চিহ্নিতকরণের কাজটি করে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির রেড জোন চিহ্নিত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে-
দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকার মধ্যে আছে: যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরিবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড, সেগুনবাগিচা।
ঢাকা উত্তর সিটির রেড জোন চিহ্নিত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে-
উত্তর সিটি করপোরেশনের যে ১৭ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ধরা হয়েছে সেগুলো হলো: বসুন্ধরা, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রায়েরবাজার, রাজাবাজার, উত্তরা, মিরপুর।
চট্টগ্রাম সিটির রেড জোন চিহ্নিত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে-
চট্টগ্রাম সিটির ১১ এলাকাকে রেড জোনের মধ্যে রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো, চট্টগ্রাম বন্দরে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, পতেঙ্গার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড, পাহাড়তলির ১০ নম্বর ওয়ার্ড, কোতোয়ালির ১৬, ২০, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড, খুলশীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, হালিশহর এলাকার ২৬ নম্বর ওয়ার্ড।
ঢাকা উত্তর সিটির পূর্ব রাজাবাজের গত ৯ই জুন রাত ১২টা থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। এ ছাড়া গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তিনটি ওয়ার্ড, নরসিংদীর মাধবদীর বিরামপুর এলাকা ও পলাশের চরসিন্দুর এলাকা এখন লকডাউন আছে।
ঢাকার দুই সিটির চিহ্নিতগুলো ছাড়া বাকী রেড জোন এলাকাগুলোতে আগামীকাল মধ্যরাত থেকে লকডাউনের ঘোষণা ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিদিনই বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্টা দিয়ে বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যা। মৃত্যু হারও থেমে নেই। যেই চীন থেকে শুরু হয়েছিল করোনা মহামারি আক্রান্তে সেই চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।
এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ফের সাধারণ ছুটি ঘোষণার না করলেও জোন ভিত্তিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ মেনে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার থেকে শুরু হবে এই কার্যক্রম
করোনা পরিস্থিতিতে টানা দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর সীমিত পরিসরে অফিস চালু হয় গত ৩১শে মে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘোষিত ওই প্রজ্ঞাপনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয় আগামী ১৫ই জুন পর্যন্ত।
জোনাকী টেলিভিশন/১৪-০৬-২০ইং
Leave a Reply