ডেস্ক রির্পোট
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তে নতুন রেকর্ড হয়েছে। এ সময় মারা গেছে একদিনে সর্বোচ্চ ৪৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৯৫ জনে। এছাড়া এসময়ে নতুন শনাক্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৪৭১ জন, যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ৮১ হাজার ৫২৩জন। আর নতুন সুস্থ হয়েছেন ৫০২ জন।
আজ শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাস সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৯ টি ল্যাবে ১৬ হাজার ৯৫০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৯৯০টি। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে একদিনে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৪৭১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষা যত বেশি হচ্ছে শনাক্তের সংখ্যাও বাড়ছে। এর আগে গতকাল (১১ জুন) একদিনে ৩ হাজার ১৮৭ জন ও তার আগের দিন (১০ জুন) একদিনে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ১৯০ জনের দেহে করোনা শনাক্তের কথা জানানো হয়। এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩২২ জনের করোনা পরীক্ষা করে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮১ হাজার ৫২৩ জনে।
এদিকে করোনাভাইরাসে দেশে মৃতের সংখ্যা দৈনিক ৫০ জনে ছুঁই ছুঁই করছে। নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন একদিনে সর্বোচ্চ ৪৬ জন। এর আগে গত ৯ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৪৫ মৃত্যু। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু ১ হাজার ৯৫ জনের। নতুন মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩৭ জন ও নারী ৯ জন। নতুন মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগ ১৯ জন ও চট্টগ্রামে ১১ জন, বরিশাল ৩, খুলনা ১ রাজশাহী ৪ জন।
নাসিমা আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সুস্থ হয়েছেন ৫০২ জন। এ নিয়ে মোট ১৭ হাজার ২৪৯ জন সুস্থ হয়েছেন। ব্রিফিংয়ের করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন অধ্যাপক নাসিমা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা মোকাবিলায় তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করতে হবে। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাওয়া ও ফুসফুসের ব্যায়াম করা। এ সময় ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ, এটি ফুসফুসের কার্যকারীতা নষ্ট করে দেয়।
চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর।
এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।
ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনও অব্যাহত আছে। ৭ম দফায় বাড়ানো ছুটি চলে ৩০ মে পর্যন্ত। ৩১ মে থেকে সাধারণ ছুটি নেই। তাই অফিস আদালতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় সরঞ্জামাদি রাখা ও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরত্ব দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে।
জোনাকি টেলিভিশন/এসএইচআর/১১-০৬-২০ইং
Leave a Reply