রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় মজনু (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ভবঘুরে জীবনে অভ্যস্ত ওই যুবক মাঝে মাঝে হকারি করে পোশাক বিক্রির কাজও করতো। ভুক্তভোগী মেয়েটি ধর্ষককে শনাক্ত করেছেন। ধর্ষক নিজেও অপরাধের দায় স্বীকার করেছে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে। সেই সাথে ধর্ষকের সামনের দুটি দাঁত ভাঙা বলে মেয়েটি যে বর্ণনা দিয়েছিলেন সেটাও মিলে গেছে বলে নিশ্চিত করেছে র্যাব।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) জানায়, গ্রেফতারকৃত যুবককে ওই শিক্ষার্থীর সামনে হাজির করা হলে এক দেখাতেই তাকে ধর্ষক হিসেবে শনাক্ত করেন মেয়েটি।
র্যাব আরো জানায়, ধর্ষককে গ্রেফতারের পাশাপাশি তার কাছ থেকে ভুক্তভোগীর ব্যাগ, মোবাইল ফোন ও চার্জার উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও একটি টর্চ লাইট জব্দ করা হয়েছে। ধর্ষক মজনুর বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। সে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় বসবাস করতো। মাঝে মাঝে কুর্মিটোলা এলাকার পরিত্যক্ত ট্রেনের কামরায়ও থাকতো।
এর আগে র্যাব সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনের মধ্যে একজন স্বীকার করে। পরে সে বিস্তারিত ঘটনার বর্ণনা র্যাবকে জানায়। পরে র্যাবের পক্ষ থেকে ধর্ষককে মেয়েটির সামনে হাজির করা হয়।
এদিকে র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সরওয়ার-বিন-কাশেম জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত আজ বুধবার দুপুর দেড়টায় র্যাবের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ধর্ষণের শিকার হন এক শিক্ষার্থী। পরে এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে ঢাবি ক্যাম্পসসহ সারাদেশের শিক্ষাঙ্গন।
দৈনিক ইত্তেফাক
Leave a Reply