কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:
নওগাঁয় চাঁদার টাকা না পেয়ে চুরি আঘাত করে হত্যা চেষ্টা করে বাবা-ছেলেকে। ঘটনার পর আসামী পলাতক।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭মে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায়। বসতবাড়ির নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদের কার্নিশ ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নওগাঁ সদর উপজেলার খাঁস নওগাঁ হঠাৎ পাড়ার মোছাঃ রেহেনা বেগমের স্বামী মো. নূর ইসলাম ও ছেলে মো. রায়হান হোসেনকে হত্যার উদ্দেশে একই গ্রামের মো.মইদুল হোসেনের ছেলে মো. নিরব হোসেন (২৪) ও মো. মিজল হোসেন (২২) পেটে চাকু মেরে পালিয়ে যায়।
মোছাঃ রেহেনা বেগম বলেন, আমাদের বাড়ি নির্মণ কাজ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন ভাবে চাদাঁ দাবী করে আসছিল মো.মইদুল হোসেনের দুই ছেলে। চাদাঁর টাকা না পেয়ে তারা নির্মাণাধীন ছাদের কার্নিশ ভাঙ্গতে যায়। কার্নিশ ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে-করতে ধারালো চাকু নিয়ে জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবেশ করে মো. মিজল হোসেনের স্ত্রী মোছা. মুক্তা (৪৫) হুকুমে আমার ছেলে মো. রায়হান হোসেন কে হত্যার উদ্যেশে মো. নিরব হোসেনের হাতে থাকা চাকু দিয়ে পেটে আঘাত করলে পেটের ডান পাশে কেটে মারাত্মক ভাবে জখম হয়। ওই সময় মো. মিজলের হাতে থাকা চাকু দিয়ে আঘাত করলে দু হাত দিয়ে প্রতিহত করলে বাম হাত কেটে রক্তাক্ত হয়ে যায়। ওই সময় আমার স্বামী মো. নূর ইসলাম এগিয়ে আসলে মিজল হোসেনের হাতে থাকা চাকু দিয়ে পেটে আঘাত করলে আমি এগিয়ে আসলে রেহেনা বেগম ও তার ছেলেরা আমাকে বেধড়ক পিটাতে থাকে। এমন অবস্থায় গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে তাদেরকেও চাকু দেকিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এলাকাবাসী এক প্রর্যায়ে পুলিশকে ফোন দিলে তারা আমাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী সুমি আক্তার বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম হঠাৎ চিৎকার শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় বাবা ছেলে পড়ে আছে। আমরা এগিয়ে আসতে চাইলে মইদুলের দুই ছেলে চাকু বের করে আমাদেরকে ভয়-ভীতি দেখায় এরপর আমরা থানায় ফোন দিলে তারা পালিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ার কারণে চার্জার (টমটম) করে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে জানতে পারি রায়হানকে রাজশাহী হাসপাতলে আইসিওতে নেওয়া হয়েছে। আসলে আমরা গ্রামবাসী অনেক আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে নওগাঁ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। অসমিদের ধরার জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে যে কোন মুহূর্তে তাদেরকে ধরে বিচার এর জন্য জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
Leave a Reply