রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর চারঘাটের শিক্ষার্থী সীমান্ত ইসলাম (১৯) নদীতে ডুবে মারা যায়নি। তাকে মেরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার ৩০ দিন পর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেয়ে সীমান্ত ইসলামের বাবা মাসুদ রানা মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাতে চারঘাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আর ৬-৭ জনকে আসামী করা হয়েছে। পরে পুলিশ বুধবার সকালে তিনজনকে আটক করেছে।।
আটককৃতরা হলেন- সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে সজল ইসলাম (১৮), মোশারফ হোসেনের ছেলে সাব্বির রহমান (১৮) ও জাকির হোসেনের ছেলে ফরহাদ হোসেন (১৬)। তারা সকলেই চারঘাট পৌরসভাধীন থানাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আটককৃত তিনজনই সীমান্তের বন্ধু।
নৌ পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মে (মঙ্গলবার) দুপুরে সীমান্ত তার বন্ধুদের সাথে বাড়ির পাশের পদ্মা নদীতে গোসল করতে যায়। গোসল শেষে তার বন্ধুরা বাড়িতে ফিরে আসলেও সীমান্তকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার বন্ধুরাও সীমান্তের কোন সন্ধান দিতে পারেনি। পরে নদীতে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে সারারাতেও তার সন্ধান মেলেনি। পরদিন ১৯ মে ( বুধবার) সকালে মাছ ধরা জালে সীমান্তের মরদেহ পাওয়া যায়।
নদী থেকে মরদেহ উদ্ধারের পরে এ ব্যাপারে নৌ পুলিশ তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক ভাবে সীমান্তের বন্ধুদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ঘটনার দিনই নৌ পুলিশ সীমান্তের ময়নাতদন্তের আবেদন করে। পরবর্তীতে দীর্ঘ প্রায় এক মাস পর গত মঙ্গলবার (১৫ জুন) নৌ পুলিশ ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পায়। ময়না তদন্তে হত্যার বিষয়টি উঠে আসে।
চারঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্টে হত্যার বিষয়টি পরিস্কার। সীমান্তের মাথায় এবং শরীরে অভ্যন্তরীণ আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সীমান্তের বাবা তার বন্ধুদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তাৎক্ষণিক চারঘাট মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আরও অধিক তদন্তে হত্যার কারন জানা যাবে।
এ বিষয়ে চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।। নৌ পুলিশ মামলটি তদন্ত করবে।। আটককৃত তিনজনকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
Leave a Reply