শাহাদাৎ হোসেন রাজু, নরসিংদী প্রতিনিধি :
নরসিংদীতে দায়িত্বরত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ জেলা প্রশাসনের ৭ সহকারী কমিশনার করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
সোমবারে জেলা প্রশাসন থেকে ঘোষিত করোনা রির্পোটে তাদের নাম পাওয়া গেছে। তবে তালিকায় তাদের নাম থাকলেও সেসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। পরে বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজে ‘ নরসিংদী জেলা প্রশাসনের ৭ সহকারী কমিশনার করোনায় আক্রান্ত।’ সংবাদটি প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। অনেকে ফেইসবুকের মাধ্যমে তাদের নাম প্রকাশের অনুরোধ জানায়।
জানা যায়, গত শনিবার ১৮ এপ্রিল নরসিংদী জেলার সন্দেহ ভাজন ৭৭ জন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করার জন্য ঢাকায় পাঠায়। নিয়মমত ১৮ তারিখের রির্পোট ১৯ তারিখে হাতে পেয়ে তা প্রকাশ করবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু ১৯ এপ্রিল বিকেল থেকেই দেই-দিচ্ছি বলে গড়িমসি শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা। পরে গতকাল ২০ এপ্রিল সকালে সেই রির্পোট প্রকাশ করা হয়। তবে তা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নয় বরং প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন ( শিক্ষা ও আইসিটি) এবং জেলা করোনা প্রতিরোধ সেলের প্রধান ইমরুল কায়েস। সেসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জানান ৭৭ জনের নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে ৩০ জনের পজেটিভ এসেছে। ৩০ জনসহ জেলায় মোট সনাক্তের সংখ্যা ১৩৪ জন এতটুকুই। পরে ব্যক্তিপর্যায়ে উপজেলা ভিত্তিক রির্পোট ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানা যায়। জেলার সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে যারা দিনরাত খেটে চলছে তাদের নাম প্রকাশে প্রশাসনের এ লুকোচুরি খেলায় সাংবাদিকসহ বিজ্ঞমহল মর্মাহত। সনাক্ত হওয়া জেলার প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তারা হলেন – অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্রাল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুর রহমান, এনডিসি শাহরুখ খান, সহকারী কমিশনার শওকত জামিল, সরোয়ার রাব্বী, ফায়জুর রহমান, মেহেদী হাসান ও রেজয়ান করিম। এছাড়াও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলও পারভেজ মল্লিকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার ২১ এপ্রিল বিকেলে ৪টায় এরির্পোট লেখা পর্যন্ত ১৯ তারিথে ঢাকায় পাঠানো নমুনার রির্পোট প্রকাশ করতে পারেনি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বা জেলা করোনা প্রতিরোধ সেল।
Leave a Reply