নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীতে এক অসহায় নারীর সম্পত্তির আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। এঘটনায় থানায় ও আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদী শহরতলীর হাজিপুর মধ্যপাড়া এলাকায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হাজিপুর মধ্যপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের মেয়ে আছমা ও তার ছোট বোন মিলে যৌথভাবে ভাইদের কাছ থেকে ৬ (ছয়) শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হন। স্থানীয় রফিক মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের দীর্ঘদিন ধরেই তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিসহ দুই বোনের ক্রয়কৃত সম্পত্তি উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। ভইদের কাছ থেকে সম্পত্তি ক্রযের পর থেকে তারা তা দখল করে নিতে নানা কূটকৌশলসহ বিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত হয়। ২০১৯ সালের প্রথম দিকে আছমা ও তার বোন ভাইদের কাছ থেকে তাদের অংশের জমি থেকে ৬ (ছয়) শতাংশ জমি ক্রয় করে নেওযার সাত মাস পর জামাল মিয়া তার বোনকে ফুসলিয়ে ৭ (সাত) শতাংশ জমি ক্রয়পূর্বক রেজিষ্ট্রি করে নেয়। এখানে প্রশ্ন থাকে আছমা ও তার বোনের জমির পরিমাণ ৬ (ছয়) শতাংশ। তাহলে ৭ (সাত) শতাংশ ক্রয় করে নেয় কিভাবে। বিষয়টি এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া ওই ৬ (ছয়) শতাংশ জমির যৌথভাবে মালিক দুই বোন সে ক্ষেত্রে এক বোনের অনুপস্থিতিতে ওই জমি কিভাবে রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে।
আছমা বেগমকে না জানিয়ে তার জমি জোড়পূর্বক আত্মসাৎ করার চেষ্টাকারী জামাল মিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গ মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে হারিছ মিয়া, মো: রফিক মিয়ার ছেলে মো: আলাউদ্দিন, মৃত দুদু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া মিলে জায়গা ভোগ-দখল করতে অবৈধ ভাবে দখলের চেস্টা করে। এতে আছমা বেগম ও তার বড় ভাই গনি মিয়া বাধা দিতে গেলে তাদের মেরে ফেলার হুমকীদেয় তারা। এঘটনা স্থানীয় ইউপিকে অবগত করানো হলে প্রথম অবস্থায় তিনি আন্তরিক থাকলেও পরবর্তীতে এ বিষয়ে তিনি রহস্যজনক ভাবে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এঘটনায় মামলার তদন্তকারী কমর্কতা সদর থানার এসআই মো: মাসুদ রানা তার তদন্ত রিপোটে জানান, ’এটা জমি সংক্রান্ত বিরোধ। আমি প্রকাশ্যে ও গোপনীয় ভাবে বিষয়টি নিরপক্ষ তদন্ত করি । বিবাদীরা জোর করে জায়গা দখল করেছে । এর সত্যতা পেয়েছি। পরবর্তীতে আমি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন থানায় জমা দেই।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জামাল মিযার সাথে কথা বলতে যোগাযোগের জন্য তার ০১৭৪৯৭৫৪০০৬ নাম্বারের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করলে তিনি রিসিভ না করায় তা আর সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply