নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীতে মণি বিশ্বাস (৩০) নামে এক তরুণী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। মণি বিশ্বাস রায়পুরা উপজেলার চান্দের কান্দি ইউনিয়নের শ্রীনিধি গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অখিল চন্দ্র বিশ্বাস ও অঞ্জনা রাণী বিশ্বাসের মেয়ে।
তিনি ১৯৯২ ইং সালের ৮ ই অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও ঈমান এনে পাঁচ কলেমা পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছেন মনি বিশ্বাস।
তিনি গত ১ জুন তারিখে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তার ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা ঘোষণা দেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তার নাম রাখা হয়েছে মণি আক্তার।
ঘোষনা পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত টেলিভিশন, ইউটিউব ও ইসলামিক চ্যানেলে ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানাদের ওয়াজ, ইসলামী জীবন বিধান ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা শুনে আসছি। এগুলো শুনে পরম করুনাময় আল্লাহ তায়ালা ও তার প্রিয় নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ( সঃ)এর জীবন দর্শন ও তাঁর প্রচারিত পৃথিবীর একমাত্র শান্তির ধর্ম ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ি। এক আল্লাহর একত্ববাদ, আসমানী কিতাব আল কুরআনের প্রতি বিশ্বাস, কিয়ামাত, হাশর, মিজান, পুলসিরাত, মৃত্যুর পর পুনরুত্থান, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর প্রতি ঈমান এনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য ভিতরে ভিতরে বেশ কিছুদিন ধরে আমি আত্ম-উপলব্ধি করে আসছি।
তাছাড়া আমি ইসলাম ধর্মের রীতি নীতি সম্পর্কে অবগত হয়ে মুসলমান ধর্মের বিধান কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ্ব যাকাতসহ আল্লাহর সকল সৃষ্টি কে আমি বিশ্বাস করি। আল্লাহ এবং রাসুল (সঃ) সহ ইসলামের সকল কিছু বিশ্বাস করে সনাতন ধর্ম চিরদিনের জন্য ত্যাগ করে পাঁচটি কালেমা পড়ে ইসলাম ধর্মের প্রতি ঈমান আনয়ন, ইসলাম ধর্মের যাবতীয় আদেশ-নিষেধ মেনে চলবো বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করি।
যার ফলে ইতিমধ্যে একজন মাওলানা সাহেবের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কালিমা কালিমা তইয়্যিবা- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম পাঠ সহ মোট পাঁচটি কালেমা পাঠ করে আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হই।
এছাড়া তিনি তার ইসলামিক নাম মনি আক্তার নামে ঘোষনা পত্রে উল্লেখ করে বলেন, আমি এখন থেকে এ নামেই সর্বক্ষেত্রে পরিচিত হবো এবং আমি একজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী মুসলিম হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের যাবতীয় কাগজপত্রে আমি মনি আক্তার নাম ব্যবহার করব। তিনি আরো বলেন, আমার এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কেউ আমাকে কোন ধরনের জোর জবরদস্তি, প্ররোচনা ও চাপ প্রয়োগ করে নাই। কাহারো প্ররোচনা ব্যতীত সজ্ঞানে ইসলাম ধর্মের সুমহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার লক্ষ্যে এই ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply