নরসিংদী প্রতিনিধি:
দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুল হক চৌধুরী শাকিল এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রুজু হয়েছে। ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে শাকিলসহ দুজনকে আসামী করে রায়পুরা থানায় এ মামলা করেন।
এ ঘটনায় রায়পুরার রাজনৈতিক ও সর্বমহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাত ১১ টায় উপজেলার রাজিউদ্দিন রাজু অডিটোরিয়ামের একটি কক্ষে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও ভিকটিমের পারিবারিক সূত্র জানায়, রাত ১০ টার দিকে নবীয়াবাদ গ্রাম থেকে ভিকটিমকে রাজিউদ্দিন রাজু অডিটোরিয়ামে তুলে নিয়ে আসে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল। সেখানে ভিকটিমের উপর পাশবিক নির্যাতনকালে তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন চারদিক থেকে অডিটোরিয়াম ঘেরাও করে। এসময় ছাত্রলীগ নেতা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে “৯৯৯” এ কল করে অবগত করা হলে রায়পুরা থানা পুলিশ ভিকটিমকে অডিটরিয়ামের তিন তলা থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ভিকটিমের বাবা জানান, আমার মেয়ের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা শাকিল। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
স্থানীয়রা জানায়, কিছুদিন পরপরই ছাত্রলীগ নেতা শাকিল মেয়েটিকে রাতের বেলায় অডিটোরিয়ামে ডেকে নিয়ে আসত। মেয়ের পরিবারের লোকজন নিরীহ হওয়ায় প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পেত না। ঘটনাটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ধর্ষককে গ্রেফতারের জোড় দাবি জানাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ও অভিযুক্ত শাকিলকে বাঁচাতে নরসিংদী ও রায়পুরার একটি প্রভাবশালী মহল থেকে জোড় তদবির চালিয়ে যাচ্ছে।
রায়পুরা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসাইন বলেন, আমি এই ঘটনা শুনেছি এবং ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়। সে অপরাধী হয়ে থাকলে আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এই ব্যাপারে রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার দেব দুলাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শাকিলের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহন করা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। তাছাড়া ভিকটিমকে মেডিক্যাল পরিক্ষার জন্য নরসিংদী সিভিল সার্জনে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষনের সেঞ্চুরি করতে আর কতটা বাকী?