নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীর পলাশে গত ৬ এপ্রিল জেলার প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।সে হিসেবে আজ নরসিংদীতে করোনা রোগী শনাক্তের ৭৩তম দিন। করোনা পরিস্থিতির এসময়ে এসে নরসিংদীতে মৃত্যূ ও আক্রান্তের তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম হচ্ছে। প্রতিদিনই মৃত্যূ মিছিলে যুক্ত হচ্ছে দু’একজন মানুষ। আর সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। নরসিংদী জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ২১ জন আর আক্রান্ত তালিকা আছে ১ হাজার ১১৭ জন।
নরসিংদী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ফেইজবুক পেইজের সর্বশেষ তথ্যে জানা যায়, নরসিংদীতে আক্রান্তের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে আরও ৩০ জন। গত ১০ জুন তারিখে পাঠানো (০৯ তারিখে সংগ্রহকৃত ) ১৩৬ টি নমুনার ফলাফলে ৩০ টি পজিটিভ পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলার ১৩ জন, পলাশে ২জন, মনোহরদীতে ৬ জন, শিবপুরে ৫ জন, বেলাবতে ১ জন ও রায়পুরা উপজেলায় ৩ জন।মৃত্যূর তালিকা সর্বশেষ যুক্ত হয়েছেন আরও ২ জন। তারা হলেন গত ০৮ জুন মৃত্যুবরণকারী বেলাব উপজেলার জায়েদুল হক ভূইয়া (৬০) ও ১০ জুন মৃত্যুবরণকারী নরসিংদী শহরের বাসাইল রেল গেইট এলাকার রেহানা বেগম (৬০)।
নরসিংদী সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহীম টিটন জানান, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে জেলায় মোট ১ হাজার ১১৭ জনের শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছেন ৭৫৬ জন, পলাশে ৯৭ জন, শিবপুরে ৮৩ জন, রায়পুরাতে ৭৯ জন, মনোহরদীতে ৪৫ জন, বেলাবতে ৫৭ জন। এখন পর্যন্ত জেলায় হোম আইসোলেশনে আছেন ৫৬৪ জন, হাসপাতাল আইসোলেশনে আছেন ৩৭ জন, আইসোলেশন মুক্ত হয়েছেন ৪৯৫ জন।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ২১ জন, এরমধ্যে নরসিংদী সদরে ১২ জন, বেলাব উপজেলায় ০৩ জন, রায়পুরায় ০৩ জন, পলাশে ০১ জন, মনোহরদীতে ০১ জন ও শিবপুরে ০১ জন।
এদিকে নরসিংদীতে দিন দিন করোনায় মৃত্যূ ও আক্রান্তের তালিকা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলার সচেতন মহল।সেই সাথে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নমুনা সংগ্রহের প্রায় এক সপ্তাহ পর ফলাফল হাত পাওয়ায় জন্যেও।অনেকে মনে করছেন নমুনা সংগ্রহ ও ফলাফল প্রাপ্তির মাঝামাঝি সময়ের ব্যবধানে ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়ে ব্যাপক বিস্তার লাভ করছে। নমুনা পরিক্ষার ফলাফল দ্রুত সময়ের মধ্যে হাতে পেলে জেলায় উপসর্গ নিয়ে মৃত্যূর সংখ্যা অনেকটাই হ্রাস পেত বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
অপরদিকে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় নরসিংদী সদর, মাধবদী ও পলাশ থানাকে রেডজোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত শনিবার (১৩ জুন) করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির সিদ্ধান্তে এ ঘোষণা দেয়া হয়। রেডজোন ঘোষণার পরও এসব এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতার বালাই পর্যন্ত নেই। প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে দৈনন্দিন কাজে নিয়োজিত হচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
জোনাকী টেলিভিশন/এসএইচআর/১৭-০৬-২০ইং
Leave a Reply