নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ ৩০ ডিসেম্বর, ভোটাধিকার হত্যা দিবস হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) দিনটি পালন করেছে। সারাদেশের ন্যায় নরসিংদীতেও দিবসটি পালন উপলক্ষে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের চিনিশপুরস্থ নরসিংদী জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় হতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল কিছু দূর এগিয়ে যাওয়ার পর পুলিশি বাধার মূখে পড়ে। কিন্তু বিএনপি’র নেতাকর্মী বাধাকে উপেক্ষা করে সামনে দিকে কিছুটা এগিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের জেলখানা মোড়ে পূনরায় পুলিশি বাধায় পড়ে।
পরে নেতাকর্মীরা জেলখানা মোড়স্থ মা জেলারেল হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারণ অর রশিদ হারুনের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও নরসিংদী আইনজীবি সমিতির সভাপতি আব্দুল বাছেদ, ফাইজুল হক চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দীন মোহাম্মদ পদিপু, যুগ্ম সম্পাদক আকবর হোসেন, নরসিংদী শহর বিএনপির সভাপতি এ কে এম গোলাম কবির কামাল, সাধারণ সম্পাদক ফারুখ উদ্দিন ভূইয়া, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি শাহেন শাহ শানু প্রমূখ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,নিরসিংদী শহর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি কবির আহমেদ, জেলা মৎসজীবি দলের সভাপতি হাবীবুর রহমান মিলন, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মুকাররম ভূইয়াম, সাবেক জিএস প্রিন্স মাহমুদ, জেলা মৎসজীবি দলের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ সজল, সাবেক এজিএস, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি মাহদুল হাসান চৌধুরী সুমন ও সাবেক এজিএস, ছাত্র নেতা সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ভিপি নাসির ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার শামস কেনেডি প্রমূখ।
এর আগে সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়। পরে তারা খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়।
সভাপতির বক্তব্যে খায়রুল কবির খোন বলেন, এ সরকার মানুষের ভোটের অধিকার ভোট ডাকাতির মাধ্যমে হরন করে নিয়েছে। রাতের অন্ধকারে ভোট চুরি করে ভোটগ্রহনে নাটক দেশের ও বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপ করে। এ সরকার জানে সুষ্ট নির্বাচন দিতে তারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না তাই সেদিন মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।
তিনি বলেন, এ সরকার বিএনপিকে ভয় পায়, তারা নির্বাচন কমিশনকে তাদের হাতের পুতুল বানিয়ে বিএনপি দলীয় প্রার্থীদের মিথ্যা মামলায় অনেককে জেল খানায়, অনেককে গৃহ বন্দি, অনেককে পুলিশি হয়রানি মাধ্যমে নির্বাচনমুখি হতে দেয়নি। সেসময় আমাকেও মিথ্যা মামলা কারা রুদ্ধ করা হয়েছিল। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে কেউ বেশী দিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকতে পারেনা, ইতিহাস তা স্বাক্ষ দেয়।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদের জাতীয় নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশের মানুষের ভোটাধিকার হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ এনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ভোটধিকার হত্যা দিবস হিসেবে দিনটি পালন করে থাকে।
Leave a Reply