নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদী সদরের নুরালাপুর ইউনিয়নে জুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মামুন মিয়া ( ৪০) নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার ন্যায় বিচার চায় নিহতের পরিবার। মামলা দায়েরের চারদিন অতিবাহিত হলেও আসামীরা এখনও অধরাই রয়ে গেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন আসামীদের দেখেও না দেখার ভান করছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি।
নিহতের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, আলগী খালপাড় এলাকার মুক্তিযোদ্ধা জানে আলম মিয়ার ছেলে মোঃ মামুন মিয়া (৪২) জুট ব্যবসা করতো। গত প্রায় ৮/১০ বছর যাবৎ আলগী বাজারের এক টেক্সটাইল মিল হতে সে জুট সংগ্রহ করতো। এনিয়ে একই এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে অপু (৩৪)’র সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব চলছিলো। গত ২ সপ্তাহ আগে তাদের মধ্যে এ নিয়ে বিবাদ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুলাই দুপুর আনুমানিক ১১ টার দিকে মামুন মিয়া তার বাবার সাথে মাধবদী বাজারে যাওয়ার পথে আলগী মনোহরপুর ব্রিজের কাছে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা অপু লোকজন নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় অপু ও তার লোকজন এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথিসহ পাওয়ারলুমের মাইরের কাঠ দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তার সারা শরিরে নিলা ফুলা জখম হয়। ছেলের উপর হামলার দৃশ্য দেখে মামুনের বাবার ডাক-চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। লোকজন আসতে দেখে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। অচেতন অবস্থায় মামুনকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাইম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ওই নরসিংদী সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ দাফন করে তার পরিবার। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মাসুম বাদী হয়ে অপুকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মাধবদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামুনের পিতা জানে আলম জানান, তার ছেলে মামুনকে পরিকল্পিতভাবে অপু ও তার সহযোগীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে।
মামলার প্রধান আসামী অপুর মামা ও সহযোগী আসামী মামুনের বাবা নুরালাপুর ইউপি মেম্বার আলী হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে মামুন ঘটনায় জড়িত নয়, অপুর সাথে ঝগড়া হলে একপর্যায়ে স্ট্রোক করে প্রতিপক্ষের মারা যায়।’
এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আশঙ্কা রয়েছে বলে এলাকার সুধীমহল জানান। এলাকাবাসী সহ ভিকটিম পরিবার প্রশাসনের কাছে মামুন হত্যার ন্যায় বিচার দাবি করেছেন ।
Leave a Reply