1. mostafa0192@gmail.com : admin2024 :
  2. arswaponbd6@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:০৩ অপরাহ্ন

নরসিংদীতে ব্রহ্মপুত্র নদ দূষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মনিরুজ্জামান
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
  • ৩৫৬ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

“দূষণ মুক্ত ব্রহ্মপুত্র নদ চাই, আমরা সবাই সুস্থ দেহে বাঁচতে চাই” এ স্লোগানকে সামনে রেখে নরসিংদীতে ব্রহ্মপুত্র নদ দূষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর পাচদোনা ব্রিজের উপর এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে পরিবেশ অধিদপ্তর নিরব ভূমিকায় কেন?  ব্রহ্মপুত্র নদ স্বরূপে দেখতে চাই,  আমরা সবাই সুস্থ ভাবে বাঁচতে চাই  এসব শ্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড ও পোস্টার নিয়ে পাঁচদোনা, শেখেরচর, মাধবদীসহ নরসিংদীর বিভিন্ন পয়েন্টে শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ, ক্যামিকেল ও বর্জ্য দ্বারা ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ক্রমাগত দূষনের প্রতিবাদে “মানব বন্ধন” এ মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।

এসময় বক্তারা বলেন, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হয়েছে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের কারণে। শিল্প কলকারখানা ও ডাইংয়ে কেমিক্যাল মিশ্রিত বিষাক্ত পানি নদীতে পড়ে নদীর পানির পাশাপাশি এলাকার বায়ুও আজ দূষিত হয়ে গেছে। নদীর পানি আজ আর পানি নেই । তা আজ বিষাক্ত রাসায়নিকের মিশ্রিত তরল পদার্থে পরিণত হয়েছে। যা দেখলে মনে হয় একরাশ পিচ (বিটুমিন) গলিয়ে নদীগর্ভে কেউ ফেলে রেখেছে।

এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে নদীর সীমানা, দখল-দূষণ ও নদী ভরাট বিষয়ে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক মামলা ঝুলে আছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিটি কিংবা জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আইন-২০১৩ কাগজেকলমে থাকলেও বাস্তবে এর কোনো প্রয়োগ নেই। শিল্প ও নগর সভ্যতার আধুনিক এই ডিজিটাল যুগে এসে আমরা নানাভাবে প্রকৃতির সাথে বৈরি আচরণ করছি।আমাদের বিবেক কবে জাগ্রত হবে?

বক্তারা বলেন, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে বর্জপানি পরিশোধন করা যায়। প্রতিটি শিল্প-কারখানায় নামে মাত্র ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থাকলেও সেটা শুধুমাত্র আই ওয়াশ মাত্র।  বাস্তবে এগুলো বন্ধ রেখে বাইপাস লাইনের মাধ্যমে কেমিক্যাল মিশ্রিত পচা দূর্গন্ধ যুক্ত পানি নদীতে ফেলা হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি ডাইং মিলেই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের নামে জাতির সাথে তামাশা করা হচ্ছে।

বক্তারা এর জন্য সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর ও কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর এই দুটি দপ্তরকে দায়ী করেন। তারা বলেন, সরকারের এই দুটি দপ্তর যদি সঠিকভাবে তাদের কাজ করতো তবে জেলার প্রতিটি নদী দূষণ মুক্ত থাকতো।

সব শেষে বক্তারা বলেন, কোনো প্রতিবন্ধকতাই যেন নদী খনন এবং নদী দূষণরোধ করার ব্যাপারে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। সেইদিকে নজর রাখাসহ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র পুনঃখননের মাধ্যমে তার স্বাভাবিক নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনসহ নরসিংদীর সর্বস্তরের মানুষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 Jonaki Media and Communication Limited
Design By Khan IT Host