নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীতে এক যুবতি (২০) শ্রমিককে মাইক্রোবাসের ভেতরে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে তিন ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ধর্ষনে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিও জব্দ করে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ আগষ্ট) সন্ধ্যায় নরসিংদী শহরতলীর চিনিশপুর পশ্চিমপাড়ার বেলতলা এলাকায় এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা ওই যুবতির অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে নরসিংদী শহরের বিভিন্ন স্থান হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হল- কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার গুজাদিয়া এলাকার মোমেন মিয়ার ছেলে বর্তমানে নরসিংদী শহরের বাসাইলের বাসিন্দা মিজান মিয়া ওরফে আরিয়ান (২০), নরসিংদী শহরের বাসাইল মহল্লার রহমত উল্লাহর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৪) ও জেলার পলাশ থানার ধানইর চর এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৪)।
বুধবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর জানান, পঞ্চগড় জেলার ওই যুবতি শহরের সাটিরপাড়া মহল্লার কুমিল্লা কলোনী এলাকায় বসবাস করে পাওয়ারলুমের শ্রমিকের কাজ করেন। মোবাইল ফোনে কথা বলার সুবাদে পূর্ব পরিচিত মিজান তার মায়ের সাথে ওই যুবতিকে পরিচয় করিয়ে দিবে সেই সাথে পাত্রি মাকে দেখানোর কথা বলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে শহরের ভেলানগর এলাকায় ডেকে নেয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অটোরিকশা যোগে বেলতলা এলাকায় নিয়ে যুবতিকে একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাসে উঠায়। এসময় মিজান ও গাড়িতে থাকা তার দুই সহযোগী সাইফুল ও সোহেল তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে তিন ধর্ষক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।
এঘটনায় রাতেই নরসিংদী সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ধর্ষণের শিকার যুবতি। পরে পুলিশ ধর্ষকদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে থানা পুলিশ।
ধর্ষিতার দেওয়া তথ্য ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় নরসিংদী শহরের বিভিন্ন স্থান হতে অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।এসময় ঘটনায় ব্যবহৃত সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার বিকালে আদালতে পাঠানো হলে অভিযুক্ত মিজান ও সোহেল ঘটনায় জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে জবানবন্দি প্রদান করেছে।
Leave a Reply