নরসিংদী প্রতিনিধি :
সুমাইয়া আক্তার মিম নামে ৬ বছরের এক শিশুকে গলা টিপে হত্যার দায়ে তানভীর আহমেদ পাভেল (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্থ করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন নরসিংদীর অতিরিক্ত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শামীমা পারভীন।
১১ সেপ্টেম্বর বুধবার জনাকীর্ন আদালতে এ রায় প্রদান করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, ২০১৪ সালের ২ আগস্ট বিকেলে পলাশ উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মোঃ ইসমাইল হোসেন ভূইয়ার কন্যা সুমাইয়া আক্তার মিম বাড়ী পাশে সহপাঠির সাথে খেলা করছিল। এসময় একই গ্রামের আব্দুল হাই ভূইয়ার ছেলে তানভীর আহমেদ পাভেল, সুমাইয়া আক্তারকে জোরপূর্বক হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়। পরে তার কানে থাকা দুইআনা দুটি স্বর্ণের দোল খুলে নিয়ে যাওয়ার সময় সুমাইয়া ঘটনা তার মাকে বলে দিবে বলে জানালে তানভীর তাকে গলাটিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত মুর্গীর খামারের ভিতর নির্মাণাধীন বার্থরুমে ফেলে লতাপাতা দিয়ে ঢেকে চলে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পর পরদিন সকালে উল্লেখিত স্থানে সুমাইয়া আক্তারের মরদেহ পাওয়া যায়। পরে পলাশ থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এব্যাপারে নিহতের পিতা ইসমাইল হোসেন ভূইয়া বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। উক্ত মামলায় ১১ জন স্বাক্ষীর উপযুক্ত স্বাক্ষ্য প্রমাণে আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে বিজ্ঞ আদালত আসামীর বিরুদ্ধে উক্তরোক্ত রায় প্রদান করেন।
সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. আব্দুল হান্নান ভূইয়া এবং আসামী পক্ষে ছিলেন এড. কানিজ ফাতেমা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এড. আব্দুল হান্নান ভূইয়া জানান, একটি অবুঝ শিশুকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকে দীর্ঘ তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদাল প্রকৃত আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট প্রকাশ করছি।
Leave a Reply