নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীর চরাঞ্চলে এক রাজমিস্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি ইয়াসিন মিয়া (২৫) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার করিমপুর দক্ষিণপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইয়াসিন মিয়া নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর গ্রামের মো. হারুন মিয়ার ছেলে।
বুধবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব ১১ সিপিএসসি নরসিংদীর ক্যাম্প কমান্ডার ফ্লাইট লে. মো. তৌহিদুল মবিন খান।
এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার নজরপুর গ্রাম থেকে দুলাল মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
র্যাব ১১ সিপিএসসি নরসিংদীর ক্যাম্প কমান্ডার ফ্লাইট লে. মো. তৌহিদুল মবিন খান জানায়, গত মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে সদর উপজেলার নজরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে পতিত জমিতে একটি মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে পরিবারের লোকজন মরদেহটি নজরপুর গ্রামের মৃত আবুল হাশিম মিয়ার ছেলে রাজমিস্ত্রী দুলাল মিয়ার (৩৯) বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এই হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতে নিহতের মা করিমুন নেছা বাদী হয়ে সদর থানায় একই গ্রামের ইয়াসিন মিয়া (২৫) ও তার পিতা হারুন মিয়া (৫০)সহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেফতার গোয়েন্দা তৎপরতায় নামে র্যাবের একটি দল। হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর প্রধান আসামি ইয়াসিন মিয়া তার এক আত্মীয়ের বাসায় সপরিবারে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় র্যাব গ্রেফতার করে।
তৌহিদুল মবিন খান আরও জানান, দুলাল মিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া ইয়াসিনের জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতা ছিল। হত্যাকাণ্ডের শিকার দুলাল মিয়াকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামি ইয়াসিন মিয়া। পরে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে দুলাল মিয়াকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। এই খুনে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে র্যাব
Leave a Reply