নরসিংদী প্রতিনিধি :
রিক্সা নিয়ে নরসিংদী বাজারের যেতে হঠাৎ অনেক লোকের ভীড় দেখে একটু সময় দাঁড়িয়ে কি বিষয় তা জানার চেষ্টা করলাম। বর্তমান লকডাউনের সময় এমন দৃশ্য দেখা যায়না। ছবির দৃশ্যটি ত্রাণ, উপহার সামগ্রী বিতরণ টিসিবির পণ্য বিক্রিয়ের নয় বরং বয়স্ক ভাতা তুলতে আসা মানুষের।
সোমবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এমনই দৃশ্য দেখা যায় নরসিংদীর সিএন্ডবি রোডস্থ সোনালী ব্যাংকের আঞ্চলিক শাখার সামনে। সামাজিক দুরত্বের নেই কোন বালাই বরং গাধাগাধি অবস্থায় লাইনে ঠাঁই দাঁড়িয়ে ছিল ঘন্টার পর ঘন্টা।
জানা যায়, মাধ্য সরকার দেশের অসহায়, দুস্থ বয়স্কদের জন্য ভাতা প্রদান করছেন।ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তালিকা প্রনয়ণের মাধ্যমে এ ভাতা প্রদান করা হয়। রবিবার জেরার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ভাতা প্রাপ্তদের চেক প্রদান করে। আর সেই ভাতার টাকা তুলতেই সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বয়স্ক ব্যক্তিরা ভীড় জমায় সোনালী ব্যাংকের সামনে। করোনার প্রাদূর্ভাব রোধে সারা জেলায় যখন লকডাউন চলছে তখন কেন ঘর থেকে হয়ে এখানে এসেছে। এমন প্রশ্নের জবাবে মুরব্বিই তাদের দারিদ্রের কথা তুলে ধরেছে।
হরমুজ আলী নামে প্রায় ৬৫ বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধ বলেন, ‘বাজান ক্ষিদার জ্বালা বড় জ্বালা’ পেডে যহন এই জ্বালা উডে তহন আর ঘরে থাওন যায়না। ক্ষিদার জ্বালায়ই ছুটট্যা আইছি এইখানে।” আবদুল্লাহ মিয়া নামে ৬৮ বছর বয়স্ক অপর নামে অপর এক বৃদ্ধ এভাবে গাধাগাধি করে কেন দাঁড়িয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বাবারা কে হুনে কার কথা। কহন থাক্ক্যা কইতাছি পিছেত্তে ঠেল্রেন না। হেড্যাই হুনতাছেনা। আমনে আবার কন ফাক ফাক হইয়া দাড়াইতো’ সত্যিই বৃদ্ধ এই লোকটি কথা আমি লজ্জা পাই আর না পাই সামাজিক দৃরত্ব নামের শব্দটি কিন্তু এখানে এসে মুখ থুবড়ে পড়বে। গ্রাম থেকে আসা অসচেতন মানুষগুলোকে এখানে সচেতন করার মত কেই ছিলনা।আমাদের এই অসচেতনতায় এখান থেকেই শত শত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস। যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
Leave a Reply