নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) থেকে
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কালা পানি নদীর উপর ব্রীজ না থাকায় নড়োবড়ো বাঁশের সাকো দিয়ে ৭ গ্রামের মানুষের চলাচল উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের আস্করনগর আজমাতা, ব্যাপারীটারী, তরিঙ্গারকুটি, বাকুয়াটারী, খোড়াঁরডারা পাড়, কামারের কুটি, এসব গ্রামের মানুষ দীর্ঘ দিন থেকে বাঁশের সাকো দিয়ে কালা পানি নদীর তসলিমের ঘাট দিয়ে পাড়াপার হয়ে থাকে। ছোট ছোট কোমলমতি শিশুরা জীবনের ঝুকি নিয়ে এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া আসা করে। ঘোরাড় ডারার পাড় , গ্রামের আলী হেসেন, কামারের কুটি, গ্রামের মিজানুর রহমান, আঃ মালেক জামান আমরা কামারের কুটি গ্রামের প্রায় ২৫০ পরিবার চারিদিকে কালাপানি নদী বেষ্টিত অবরুদ্ধ একটি দ্বীপেন মধ্যে মনে হয় বন্ধী জীবন যাপন করছি। গ্রামে ভালরাস্তাঘাট না থাকায় আমাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য ধান, পাট, গম, আলু ও বিভিন্ন ধরনের সবজিসহ এসব উৎপাদিত ফসলগুলো কেনাবেচার জন্য কোন যান বাহনে হাট বাজারে আনা নেয়া করতে পারি না। মনে হয় যে আমরা নিজ ভুমে পরবাসী তাঁরা আরো জানান যে, তসলিমের ঘাট বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে মোজাম্মেল হক এর শিশু ছেলে আতিকুর রহমান (৭) পানিতে পড়ে মারা যায়। তাই এলাকা বাসির জোড় দাবি কালাপানি নদীর উপর তসলিমের ঘাটে ৭ গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য জরুরী ভিত্তিতে প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ ফিট পাকা ব্রীজ নির্মান হলে এলাকার মানুষের দুঃখ লাঘব হবে। রামখানা ইউপির ৯নং ওয়ার্ড সদস্য হাশেম আলী জানান আমি আমার নিজ অর্থয়ানে বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে কোন রকম ভাবে মানুষের পারাপারের ব্যবস্থা করছি। এ ব্যাপারে রামখানা ইউনিয়নের চেয়াম্যান আব্দুল আলীম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান জনপ্রতিনিধি হিসাবে ব্রীজটি নির্মানের জন্য উদ্বোতন কর্তৃপক্ষের নিকট বার বার যোগাযোগ করা হচ্ছে। হয়তোবা আগামীতে বরাদ্ধ আসলে ব্রীজটি নির্মান হবে।
Leave a Reply