1. mostafa0192@gmail.com : admin2024 :
  2. arswaponbd6@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৯ অপরাহ্ন

না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বীর প্রতীক বদিউজ্জামান টুনু

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২২ জুন, ২০২০
  • ৩০৯ বার পঠিত
বদিউজ্জামান টুনু বীর প্রতীক (ফাইল ফটো)

ডেস্ক রির্পোট

একাত্তরের রণাঙ্গনের অকুতোভয় সৈনিক বদিউজ্জামান টুনু বীর প্রতীক আর নেই। রবিবার দিবাগত রাত ১২টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যূবরণ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যূকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান টুনু বীর প্রতীকের পৈত্রিক বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর ঝাউতলা মোড়ে। ওই বাড়িতেই তিনি বসবাস করতেন। রাজশাহীর সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আরিফুল হক কুমারের চাচা শ্বশুর তিনি। আরিফুল হক কুমার তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বেশ কিছু দিন ধরেই শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন বদিউজ্জামান টুনু বীর প্রতীক।

আরিফুল হক কুমার জানান, কিছু দিন আগে বদিউজ্জামান টুনুর পা ভেঙে গিয়েছিল। এছাড়া বার্ধক্যজনিত সমস্যা তো ছিলই। সপ্তাহখানেক আগে তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এরপর তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাকে বাসায় নেয়া হয়েছিল। শনিবার তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েলে তাকে আবারও রামেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

প্রায় দুই বছর পূর্বে বদিউজ্জামান টুনু বীর প্রতীকের স্ত্রী ফিরোজা বেগম মারা যান। তার পাঁচ সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে এবং তিন মেয়ে। এদের মধ্যে এক ছেলে থাকেন কানাডায়। আর এক মেয়ে থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। অন্য দুই মেয়ে থাকেন ঢাকায়। আর এক ছেলে থাকেন লক্ষ্মীপুর ঝাউতলার বাসায়। পরিবারের সবার সঙ্গে আলোচনা করে বীর প্রতীক বদিউজ্জামান টুনুর দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলেও জানান আরিফুল হক কুমার।

বদিউজ্জামান টুনু ১৯৭১ সালে একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ৪২ বছর। ওই বয়সেই তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ভারতে গিয়ে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন। গেরিলাযুদ্ধের পাশাপাশি সম্মুখযুদ্ধও অংশ নেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য বদিউজ্জামান টুনু বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বদিউজ্জামান টুনুর বড় ভাইয়ের দুই ছেলে, ছোট ভাই, ভগ্নিপতি ও ভাগনি জামাই নজমুল হককে হত্যা করে। নজমুল হক পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের এমএনএ (মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লি) ছিলেন।

 

জোনাকী টেলিভিশন/এসএইচআর/২২-০৬-২০ইং

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 Jonaki Media and Communication Limited
Design By Khan IT Host