নিতিশ চন্দ্র বর্মন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের করোনা সংক্রমন রোধকল্পে ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধি সরকারী কর্মকর্তা সহ স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের নিয়ে প্রতিরোধ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আটোয়ারী উপজেলার প: প: কর্মকর্তা ডা: হুমায়ূন কবীরের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়রম্যান তৈহিদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মোঃ শামসুজ্জামান, আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দীন, ওসি তদন্ত দুলাল উদ্দীন, ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাহান আলী, মেডিকেল অফিসার ডাঃ সইফুজ্জামান বিপ্লব সহ বিভিন্ন ৬ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মকর্তা সহ স্বাস্থ্য সেবাদানকারী কর্মকর্তাগণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়রম্যান তৈহিদুল ইসলাম করোনা প্রতিরোধের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘আমরা চাইলেই নিজেদের করোনার আক্রমণ থেকে যথাসম্ভব দূরে রাখতে পারি। এ জন্য কঠোরভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। সরকারও প্রতিনিয়ত এ বিষয়টি প্রচার করছে। বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপও হাতে নিয়েছে, যেমন নো মাস্ক নো সার্ভিস কার্যক্রম। অর্থাৎ মাস্ক ছাড়া কোনো সেবা দেওয়া হবে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মোঃ শামসুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেকের ক্ষেত্রে করোনার আক্রমণ জটিল হয়েছে শুধু সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নেওয়ার কারণে। অনেকেই নিজে নিজে চিকিৎসা করে থাকেন, এটি মোটেও ঠিক নয়। কারণ আমার অভিজ্ঞতা বলে, করোনা একেকজনের ক্ষেত্রে একেক ধরনের জটিলতা তৈরি করে। বিশেষ করে যাঁদের আগের জটিল কোনো রোগ রয়েছে।
আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইজার উদ্দীন বলেন ‘ফলে প্রচুর রোগীর মৃত্যুঝুঁকি যেমন কমেছে, তেমনি মৃত্যুহারও কমেছে। সারা বিশ্বেই বয়স্কদের ক্ষেত্রে রোগটি বেশি মরণঘাতী। সে তুলনায় ৫০ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে তুলনামূলক কম মরণঘাতী। আর ছোটদের ক্ষেত্রে আশঙ্কা অনেক কম। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে সবাইকে। আর সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ সইফুজ্জামান বিপ্লব কথা বলেন করোনা রোগীর যত্ন এবং সচেতনতা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘কিছু অদ্ভুত বিষয় আমরা খেয়াল করেছি, যেমন একই ঘরে একজনের করোনা আক্রান্ত হলেও বাকিরা আক্রান্ত হননি। অর্থাৎ হয়তো স্বামীর করোনা হয়েছে কিন্তু স্ত্রীর হয়নি কিন্তু তাই বলে করোনাকে হালকাভাবে দেখা যাবে না। বেশির ভাগ করোনা রোগী বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নেন এবং ভালো হয়ে যাচ্ছেন। এসময় গণমান্য ব্যক্তিসহ সরকারী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply