নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলমান অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা দেওয়া হলোনা সাংবাদিক আওলাদ হোসেন আজাদের। গ্রেফতারকৃত আজাদকে ১২ মে, ২০২৫ সোমবার বিকেলে আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আওলাদ হোসেন আজাদ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি। পুলিশ দুপুরে তাকে গ্রেফতার করে পেন্ডিং মামলায় জড়িয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের স্থানীয় শাখা কমিটি থেকে জানানো হয়েছে আজ সোমবার দুপুরে তাকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গ্রেপ্তার করে পুলিশ টেনেহিচড়ে গাড়িতে উঠিয়েছে বলে এমন অভিযোগ তার সহকর্মীদের।
আওলাদের সহকর্মী এবং বিএমএসএফের স্থানীয় শাখা নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, একসময় সে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। গত তিন/চার মাস আগে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দলের সমস্ত কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। এরপরও তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা ভালো চোখে দেখছেন না।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম।
গণমাধ্যমে পাঠানোর বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর বলেন, আওলাদের বিরুদ্ধে সুনিদৃষ্ট কোন মামলা না থাকার পরেও কেন একজন পেশাদার সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হবে? পুলিশকে এত উৎসাহী হলে চলবেনা। এমন অতিউৎসাহী কাজের জবাব পুলিশকেই দিতে হবে। আমরা সন্দেহ করছি, কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে স্পর্শকাতর পেন্ডিং মামলায় আসামি করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে সাংবাদিক এবং পুলিশের মাঝে একটি বিতর্ক সৃষ্টি করা হলো। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে কোন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা থাকলে সেই মামলায় তদন্তে দোষী প্রমাণিত না হওয়ার আগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারবে না। অথচ কিশোরগঞ্জের এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোন মামলাই নেই, তবুও তাকে গ্রেফতার করা হলো। সে একজন পেশাদার সাংবাদিক। দীর্ঘ ৪-৫ বছর ধরে পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা করে আসছে।
Leave a Reply