নিজস্ব প্রতিবেদক
পারিবারিক কলহের জেরে ইব্রাহিম মিয়া (২৫) প্রাণ ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্কের এক শ্রমিকের গলায় দঁড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। স্ত্রীর সাথে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে স্ত্রী তানিয়ার দাবী। বুধবার দিবাগত রাতে পলাশ চরপাড়া গ্রামে রাসেল মিয়ার বাড়িতে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
ইব্রাহীম হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার গেলানী চা বাগান নামক গ্রামের ভদ্র চৌহানের ছেলে। আগে তার নাম ছিল আকাশ চৌহান। নরসিংদীর পলাশে এসে কাজের সুবাদে তানিয়ার সাথে পরিচয় হয় তার। প্রথমে প্রণয় পরে বিয়ে। বিয়ের পরে সে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান ধর্ম গ্রহন করে এবং তার নাম পাল্টে রাখা হয় ইব্রাহীম মিয়া। তারা পলাশের চরপাড়া গ্রামে রাসেল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতো।
স্ত্রী তানিয়ার জানায়, গত দুদিন ধরে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিববারিক কলহ চলছিল। বুধবার রাতে ইব্রাহীম বেতন পেয়ে বাড়িতে টাকা কম দেওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে স্বামী-স্ত্রী দুজনই এক সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু ভোর রাত ৪ টার দিকে স্ত্রী তানিয়ার ঘুম ভাঙলে দেখতে পায় ইব্রাহীম ঘরের ধরনার সঙ্গে গলায় দড়ি লাগানো অবস্থায় তার নিথর দেহ ঝুলে আছে। এসময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। পরে ইব্রাহিম মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ইব্রাহিম মিয়ার লাশ ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদীর সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে প্রকৃত তথ্য জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে ।
Leave a Reply