মো. মোস্তফা খান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
সম্প্রতি পলাশ লোহ’র গাওয়া ও সুর করা চারটি গানের রেকর্ডিং এবং শুটিং সম্পন্ন হলো। এর মধ্যে তিনটি গানে তার সহশিল্পী ছিলো মিতু সোনালী। আর একটি গান ছিলো তার একক গাওয়া। সবগুলো গানই যিনি রচনা করেছেন তিনি শ্রদ্ধাভাজন কুদ্দুস ফরাজী।
পালাশ লো ‘র সাথে কথা বলে জানা যায়, কুদ্দুস ফরাজী সবসময় গ্রামীণ পটভূমি নিয়ে লোকমুখে উচ্চারিত প্রচলিত শব্দ ভান্ডার নিয়েই গান রচনা করে থাকেন। উনার লেখা বেশ অনেকগুলো গান এর আগে গেয়েছেন পালাশ লোহ। এবারের গানগুলোও আরেকটু ভিন্ন ধাঁচের। তিনটি গান আধুনিক এবং একটি লোকগান। আর সহশিল্পী মিতু সোনালী খুব ভালো গেয়েছে। সে প্রতিভাবান শিল্পী। সে সব ধরনের গানের জন্যই প্রস্তুত হচ্ছে।
এই গানগুলির সঙ্গীত আয়োজন করেছেন যথাক্রমে বেলাল হোসেন চঞ্চল এবং আরিফ হাসান। দুজনই খুব দারুন কম্পোজিশন করেছেন গানের প্যাটার্ন অনুযায়ী।
গানগুলোর শুটিং সম্পন্ন করা হয়েছে উত্তরার দিয়াবাড়ি সহ বিভিন্ন লোকেশনে। এখন সম্পাদনার কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই পর্যায়ক্রমে গানগুলো রিলিজ হবে ‘SBJ Chitkar’ এই ইউটিউব চ্যানেল থেকে।
পলাশ লোহ বলেন, বর্তমানে অনেক গানই রিলিজ হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে। তবে সেগুলোর কতো ভাগ মান বিবেচনা করে বানানো হয়? দেখা গেছে সেগুলোর অধিকাংশ গানই খুব সস্তা কথা, ধার করা সুর এবং গৎবাঁধা কম্পোজিশন এবং চাকচিক্যময় মডেল ব্যাবহার করে ধুমধাম ভিডিও বানিয়ে রিলিজ করা হচ্ছে। এতে ভিউ হচ্ছে ঠিক, তবে চোখ বন্ধ করলেই শোনার মতো না। কয়দিন পরই আর এই গান কেউ শোনেনা। এই ভিউ চিন্তার বিপরীতে গিয়ে আমরা এই গানগুলো তৈরি করেছি। এখানে লিরিকে পাওয়া যাবে গল্প, সুরে পাওয়া যাবে মোহিত করার উপাদান এবং কম্পোজিশন ও ভিডিওতে পাওয়া যাবে রূচির ছাপ। আমার যারা শ্রোতা দর্শক আছেন, তারা জানেন আমার রূচির বিষয়টা। যার কারনেই ঐ তাড়না থেকে ভালো ভালো কাজ করার উৎসাহ পাই। সবার দোয়া চাই। গান নিয়ে অনেক অনেক প্রত্যাশা আছে, সেই প্রত্যাশায় স্থিতিশীল কাজ উপহার দিতে চাই।
Leave a Reply