অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের করাচিতে বিমান নিহতের সংখা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ জনে । পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) বিমানটিতে ৯৯ জন যাত্রী ছিলেন।
শুক্রবার সিন্ধুর স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, বিমানটির দুইজন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে।
শুক্রবার দুপুরে লাহোর থেকে ছেড়ে আসা এয়ারবাস এ-৩২০ বিমানটি করাচির জিন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নামার আগে তার কাছের একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
পাকিস্তানের পতাকাবাহী এই বিমানে ৯১ জন যাত্রী এবং ৮ জন ক্রু ছিলেন বলে জানা গেছে। করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনে বন্ধ থাকার পর বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালুর অনুমতির কয়েকদিনের মাথায় এই দুর্ঘটনা ঘটলো।
পিআইএ’র মুখপাত্র জানান, স্থানীয় সময় আড়াইটার দিকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এর কিছু সময়ের মধ্যেই এটি বিধ্বস্ত হয়।
সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র মিরান ইউসুফ জানিয়েছেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৯৭ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত হওয়া গেছে। আর অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন বিমানের দুই যাত্রী। এদের একজন ব্যাংক অব পাঞ্জাবের প্রেসিডেন্ট জাফর মাসুদ। অপরজনের নাম জুবায়ের বলে জানান তিনি। তাদের সিভিল হাসপাতাল ও দারুল সেহাত হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বলেও জানান তিনি।
বিমান দুর্ঘটনার কারণ এখন্ও নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তবে পিআইএ’র প্রধান নির্বাহী এয়ার ভাইস মার্শাল আরশাদ মালিক বলেছেন, বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল বলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে জানিয়েছিলেন পাইলট।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে দুর্ঘটনার বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন।
জোনাকি টেলিভিশন/এসএইচআর/২৩-০৫-২০ইং
Leave a Reply