ডেস্ক রির্পোট
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে থাকায় শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শেরপুর-জামালপুর সরাসরি সড়কের একটি ব্রিজের মাটি ধসে পড়ায় শেরপুরের সাথে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে পানির স্রোত বৃদ্ধি পেলে ব্রিজের মাটি ধসে পড়লে ডুবে যাওয়া সড়কে ঝুঁকি নিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করেনি। তবে বিকল্প সড়ক হিসেবে বলায়েরচরের ভেতর দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে।
শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকাল থেকে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে থাকায় শেরপুর-জামালপুর সড়কটি ডুবে যায়। এসময় সড়কের একটি ব্রিজের মাটি ধসে পড়ায় শেরপুরের সাথে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ডুবে যাওয়া সড়কে ঝুঁকি নিয়ে কোন যানবাহন করেনি। তবে বিকল্প সড়ক হিসেবে বলায়েরচরের ভেতর দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে।
এদিকে বন্যার পানি বাড়তে থাকায় সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী, বলায়েরচর, কামারেরচরসহ আশপাশের অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
সম্প্রতি ওই কজওয়েতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের অধীনে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আর সেতুর নির্মাণের কারণে বিকল্প সড়কও তৈরি করা হয়েছে। এখন ওই সড়কটিও ধসে যাচ্ছে।
বন্যার্তদের সহায়তায় ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসএই জিয়াসমিন খাতুন জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ০.২৫, চেল্লাখালি নদীর পানি ০.৪, ভোগাই নদীর পানি ২.৬৮ ও নাকুগাঁও নদীর পানি ৪.১৪ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জোনাকী টেলিভিশন/এসএইচআর/১৭জুলাই ২০২০ইং
Leave a Reply